এবারের ঈদ যাত্রায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনিসুর রহমান।
তিনি বলেন, মহাসড়কে কোনো প্রকার থ্রি হুইলার (তিন চাকার যান) ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। এগুলো নিয়ে আমরা খুব শক্ত অবস্থানে আছি। কেউ চালানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও সংযোগ সড়কগুলো সিল (বন্ধ) করে দেওয়ায় থ্রি হুইলার ঢুকতেই পারবে না।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবার মহাসড়কও যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো আছে। আমি মনে করছি এবারের ঈদ যাত্রা অন্যান্য যেকোন বছরের চেয়ে স্বস্তির ও সুন্দর হবে। আমি ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কটি কয়েকবার ঘুরে দেখেছি ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি। সেই অনুযায়ী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে, ৭০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে যার তদারকিতে থাকবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও মোবাইল টিম, ক্রস পেট্রোলিং, যাত্রাপথে কোনও গাড়ি নষ্ট হলে তা দ্রুত সরিয়ে নিতে ৬টি রেকারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বালুবাহী ট্রাক বা এই জাতীয় কোনো পরিবহন চলতে দেওয়া হবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি আনিসুর বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির প্রাদুর্ভাব ঘটে। এটা নিয়ে আমরা গত ৫-৭ বছরের তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। শুধু সিরাজগঞ্জ নয় রাজশাহী বিভাগের সকল জেলাতেই একযোগে ঈদ পরবর্তী পর্যন্ত এটা নিয়ে বিশেষ অভিযান চলছে। যার ফলে যতপ্রকার প্রতারক পার্টি আছে তারা কেউই এবার ঈদে সুবিধা করতে পারবে বলে মনে করি না।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি বলেন, আমাদের পরামর্শ থাকবে চালক যেন খুবই সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালান। কেউ যেন ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে হাত না দেন এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর চেষ্টা না করেন। নাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যাত্রা নিরাপদ, সুন্দর ও যানজটমুক্ত রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেব।
এ সময় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সকল সার্কেলের অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার, সকল থানার ওসি, ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক, হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শকগণ ছাড়াও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।