কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের নাম কৃষি। উৎপাদনশীলতা, আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে কৃষিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পাট উৎপাদনে সপ্তম, পাট ও কাঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম। সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন কৃষিতে রোলমডেল।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সোমবার দিনাজপুরে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে নশিপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ভিত্তি পাট বীজ খামার ও বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সব কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে যত রকমের কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়, তার সবই দিনাজপুরের মাটিতে ফলানো সম্ভব। এ এলাকার মাটি উর্বরতার কারণে এই ফলন দিগুণ হবে।’
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন কৃষির উন্নতিতে নিহীত রয়েছে কৃষকের অর্থনৈতিক মুক্তি। বর্তমান কৃষিতে দেশের যে অনন্য সাফল্য, তা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা ও পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা। ফসলের নিবিড়তা গত ৫ বছরে শতকরা ১৯২ হতে ২১৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ এর ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে কৃষি সেক্টরে অর্জনের এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সকলের প্রচেষ্টায় আমরা উন্নত দেশের অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ‘কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে দিনাজপুরের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। দেশে ভুট্টা উৎপাদনে দিনাজপুর প্রথম স্থান অধিকার করেছে।’
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুরের প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের চেয়ারম্যান ড. অমিতাব সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, ধান ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ড. শাহজাহান কবীর প্রমুখ।