মোঃ আনজার শাহ, জেলা প্রতিনিধি: জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কুমিল্লা বিভাগীয় কমিটির নবাগত সভাপতি হারিছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল ভূঁইয়া সজীব নির্বাচিত হওয়ায় সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকারের সময় সভাপতি মোঃ হারিছুর রহমান জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আস্থা, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা। এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা এক গৌরবময় ইতিহাস। এই ইতিহাস অগ্রগতি, সমৃদ্ধি, সাফল্য আর ঐতিহ্যের ইতিহাস। একটি গঠনমূলক গণতান্ত্রিক সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে, একক ও অনন্য অনানুষ্ঠানিক সাংবাদিক শিক্ষা, গবেষক ও কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা দেশের হাজার হাজার সাংবাদকর্মীদের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা করে নিয়েছে। ইদানিং সোস্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লা বিভাগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু খারাপটা তখনই, যখন দেখা যায়- সকালে সংগঠনের জন্ম হয়, আর দুপর না গড়তেই সেই সংগঠনের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নিজেকে সংগঠন থেকে প্রত্যাহার করে নেয় বা সংগঠনের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে সোস্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেয়। অর্থাৎ সবটাই হচ্ছে একের সাথে অন্যের কোন যোগাযোগ ছাড়াই। এই সংগঠনগুলো অনলাইনেই থাকে, অফলাইনে এদের উপস্থিতি বা কার্যক্রম তেমন একটা চোখে পরে না। সাংবাদিকতার উন্নয়ন বা সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার চেয়ে এরা নিজেদের প্রচার করতেই বেশি ব্যস্ত থাকে।
সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল ভূঁইয়া সজীব বলেন, কুমিল্লা বিভাগের সাংবাদিকদের নাম সর্বস্ব বিভিন্ন ভুঁইফোঁড় সংগঠন না করে, সকলকে নিয়ে একটি কার্যকর সংগঠন গঠন করা হলে সেটা সবচেয়ে ফলপ্রসু হবে বলে আশা করছি। এই লক্ষ্যে কুমিল্লা বিভাগের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের নিয়ে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বিভাগীয় কমিটি করা হয়েছে- জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় সভাপতি সাংবাদিক নেতা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও সিনিয়র সহ সভাপতি মো আবুল বাশার মজুমদারের অনুমতিক্রমে। কুমিল্লা বিভাগের সকল সাংবাদিকদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রতিটি জেলায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র কমিটি গঠন করবে। এই কমিটি একটি নীতিমালা তৈরি করবে, যা কুমিল্লা বিভাগের সকল প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পেপারগুলো অনুসরণ করবে। শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের জন্য এই কমিটি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। দায়িত্বপালনকালে কোন সাংবাদিক হেনেস্তা ও নির্যাতনের শিকার হলে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনে সারাদেশে মানববন্ধন করবে।
কুমিল্লা জেলা সভাপতি সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম তরুণ বলেন, কুমিল্লা বিভাগে সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে এবং পেশাদার সাংবাদিক তৈরি করতে কুমিল্লা বিভাগের প্রবীন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ প্লাটফর্ম চালু করা সময়ের দাবী। আশা করি সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে এগিয়ে এসে কুমিল্লা বিভাগে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থাকে একটি সুন্দর ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিবেন।
তিনি আরো বলেন, দুনিয়া জুড়ে সংবাদকর্মীরা নানারকম ঝুঁকির মুখে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯২ সাল থেকে ১ হাজারের বেশি সাংবাদিক মারা গেছেন, হাজার হাজার সাংবাদিক ভয়ভীতি, হামলা, নিগ্রহ ও কারাভোগের শিকার হয়েছেন। বেশ কিছু সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে, তার মধ্যে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বিপদগ্রস্ত সাংবাদিকদের জরুরি সাহায্য দিয়ে থাকে। সাহায্য নানা ধরনের হতে পারে- মেডিক্যাল বা আইনি সহায়তা। ক্ষেত্র বিশেষে ঝুঁকিতে থাকা সাংবাদিককে দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হয়। অতএব বিপদে পড়লে, আপনিও সাহায্য পাবেন, যদি সাংগঠনিক নিয়ম মেনে সাংবাদিকতা করেন।
সরাসরি সাক্ষাতকালে কুমিল্লা বিভাগের সভাপতি হারিছুর রহমানকে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাংবাদিক নেতা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন, সত্যিকার অর্থে সাংবাদিকদের জন্য কাজ করতে পারাটাই জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র স্বার্থকতা বলে মন্তব্য করেন।