সাইফুল ইসলাম,রামগড়ঃ আতঙ্কের এক নাম হচ্ছে শামীম কাউন্সিলর এমন গুনঞ্জন শুনা যাচ্ছে খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নিরীহ মানুষের মুখে মুখে ,দলীও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কমিশনার শামীম ও তার ভাই দাউদ জিম্মি করে রেখেছে ৬নং পৌর ওয়ার্ডটি। শামীম যেনো এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে ।চাঁদাবাজি,মামলা হামলা নারী কেলেঙ্কারি মাদকসেবন,বিচারের নামে মানুষের সংসার ভাঙ্গা,মানুষকে জিম্মি করে রাখা, ইতিমধ্যে তার অত্যাচারে কয়েকজন মারধর খেয়ে এলাকাও ছেড়েছে,বসতবাড়ি থেকে চলে যাওয়া ব্যক্তিরা চাঞ্চল্যকর এসব অভিযোগ তুলেন তার বিরুদ্ধে এবং কেউ কেউ তার অত্যাচার থেকে বাচাঁর জন্যে থানায়ও অভিযোগ করেছে।
একটি অনুসন্ধানে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে শামীম কাউন্সিলর পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৪ সালের মার্চ মাসের শেষ দিকে সাবেক সেনা সদস্য মিন্টু আলী নামে এক ব্যক্তি,কে অপহরণ করে নিজ বাড়ির পেছনে জঙ্গলে বেঁধে রেখে ৩লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবী করে, পরবর্তীতে র্যাব ৭ এর সহযোগিতায় সে সেনা সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।এবং শামীম সহ তার সহযোগীদের অপহরণ দায়ে র্যাব ৭-আটক করে এবং তার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করা হয়।পরে সেই মামলা থেকে জামিনে আসেন, জেলখানা থেকে এসে শামীম আরো বেপরোয়া হয়ে যায়,জমি বিরোধ নিয়ে বিজিপি”র সাবেক এক সদস্যকে মারধর, এক প্রবাসীর স্ত্রীর থেকে চাঁদা নেওয়া,মানুষের সাথে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করা,মানুষকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে শামীমের বিরুদ্ধে ।মানুষ তার ভয়ে কোথাও অভিযোগ করতে সাহস পায় না,অপহরণ চাঁদাবাজি মামলার আসামি শামীম এলাকায় ভাই ভাতিজাদের প্রভাব খাটিয়ে তার সন্ত্রাসী রাজনীতি করছে,অসহায় ব্যাক্তিদের জিম্মি করা,নারীদের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা সহ নানা অপকর্ম সাথে জড়িত এই শামীম।টানা ৩বার ৬নংওয়ার্ডে ক্ষমতার অপব্যবহার করে হয়েছে কমিশনার,নির্বাচনে এলাকায় কোন প্রার্থী দাঁড়াতে চাইলে রাতের অন্ধকারে তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুমকি দিয়ে আসতেন,শামীম ও তার ভাই দাউদের ভয়ে আওয়ামীলীগ, বিএনপির কোন ভদ্রলোক গত পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি,যে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে তাকেই শামীমের অত্যাচার সহিতে হয়েছে।কেউ ভয়ে প্রার্থী না হওয়াতে নির্বাচনে বিনাপ্রতিদন্ধীতায় কমিশনার হয়েছেন তিনি, চাঁদাবাজি,গুচ্ছগ্রামের প্রজেক্টে চাল বিতরণে অনিয়ম করে রাতারাতি বহুটাকার মালিক হয়ে তার অপরাধ কর্মকাণ্ড যেনো ১শ’গুন বেড়ে যায়,তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।টাকার দাপটে অযোগ্য অশিক্ষিত শামীম রামগড় পৌরসভার মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হয়েছে প্যানেল মেয়র ১,প্যানেল মেয়র হওয়ার পর তার অপকর্ম সীমাহীন বেড়ে যায়।
শামীম কমিশনারের অত্যাচারের শিকার হওয়া ৬নংওয়ার্ডে,র আওয়ামীলীগের এক প্রবীণ নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান,শামীম তৈইচালা এলাকার এক আতঙ্কের নাম, বিএনপির শাসনামলের চেয়েও ভয়ংকর শামীমের শাসন,আমরা বংশগত আওয়ামীলীগ পরিবারের হয়েও আজ এলাকাতে থাকতে পারছি না তার অত্যাচারে,ভূমি দখল চাঁদাবাজি অসামাজিক কাজ সহ এমন কোন কাজ নেই সেই করেনা,বৈধভাবে করেছে বিয়ে একটি আর অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে রাতের আঁধারে মানুষের হাতে ধরা খেয়ে ২য় বিয়ে করে,এছাড়া শত শত নারীর সাথে রয়েছে তার অবৈধ সম্পর্ক,আওয়ামীলীগ এ নেতা আরো জানান সমাজ কমিটি হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটি,যাহা পরিচালিত হবে সিনিয়রর লোক দ্বারায়,কিন্তু শামীমের ছোট ভাই দাউদকে সমাজের সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে সমাজ টাকেও জিম্মি করে রেখেছে,কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা,কোন অপরাধের প্রতিবাদ করলেই তার হাত পা ভেঙ্গে এলাকা ছাড়া করে দেয়,শামীম কমিশনারের পরিবারের সদস্যদের ভয়ে ৬নংওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ, বিএনপি সহ সাধারণ মানুষ বতর্মানে নিরাপদে বসবাস করা কষ্টদায়ক,মানুষ নিরবে সহিতে হচ্ছে দুই ভাইয়ের অত্যাচার। ৬নং ওয়ার্ড যেনো শামীমের রাজনৈতিক অত্যাচার সেল পরিণত হয়েছে। এদিকে ৬নংওয়ার্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান শামীম কাউন্সিলর এর কারণে আমার পরিবার ধংস,আমি তার অত্যাচারের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে কখনো ঢাকা কখনো চট্টগ্রামে বসবাস করছি, শামীমের কারণে আমার প্রায় ৫লক্ষ টাকা শেষ।এলাকায় থাকলে আমাকে অনেক আগেই হত্যা করে ফেলতো।তিনি আরো জানান শামীম ও তার ভাই দাউদের কাজ হচ্ছে রাতে আধাঁরে মানুষের বাড়িতে গিয়ে সুন্দরী মেয়েদের আর মানুষের সুন্দরী বউদের সাথে অনৈতিক কাজ করা,আর অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে মানুষের সংসার ভেঙ্গে মহিলাদের জিম্মে করে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায়’মামলা দিতে বাধ্য করে , এভাবেই চলে ২ভাইয়ের নিরব অত্যাচার কেউ ভয়ে কিছু বলতে পারে না।শামীমের অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি তার ৩য় স্ত্রীর মা বাবা ভাই বোনেরাও,শামীমের ভয়ে তারা কেউ কেউ ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্রে আতঙ্কে দিনযাপন করছে।
স্বামীর সাথে ডিভোর্স হওয়া এক মহিলা জানান শামীম আমার সুখের সংসার ধংস করে দিয়েছে,তার কারণে এখন আমি গার্মেন্টস কর্মী,তৈইচালাতে অনেক মেয়ে নিরবে সর্বশান্ত হয়েছে শামীম ও তার ভাই দাউদের কারণে,ঐ মহিলা আরো বলেন দাউদের স্ত্রীর বড় বোনের সাথে পরকীয়া করে গত ০৭”০৫”২০২২ ছকিনা আক্তার রুনার সুখের সংসার ভেঙ্গেছে,যার সংসার ভেঙ্গেছে সে হলো দাউদ ও শামীমের আপন মামাতো বোন (স্ত্রীর বড় বোন)ছকিনার স্বামী ডাক্তার সাইফুল,কেও মামলা হামলা দিয়ে সর্বশান্ত করেছে, এরা এতই খারাপ নিজের আত্মীয় স্বজনেরও ক্ষতি করতে চিন্তা করে না।
কাউন্সিলর শামীম এর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
রামগড় থানার উপপরিদর্শক মো.মহসীন মোস্তফা জানান শামীম কমিশনারে বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আরিফ হোসেন ও তার বউ ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে, তারপর থানা থেকে আমি পুলিশ টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় এবং উপস্থিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এবিষয়ে রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম (কামাল) বলেন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি,র কাছে মানুষ এমন আচরণ আশা করেনা।বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।