মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্র দখল নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা প্রায় অর্ধশত ককটেলয়ের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকালে সদরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৯৫নং বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে ককটেল ও ইটপাটকেলের আঘাতে বাদশা হাওলাদার (৬৫), ইদ্রিস হাওলাদার (৫৫) এবং বাবুল হাওলাদার (৫০) নামের তিন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়াও অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাজাহান খানের ছেলে আসিফ খান এবং মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান নির্বাচন করছেন। এই নির্বাচনে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তাপুর এলাকার বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় কমপক্ষে ১০ বোমা বিস্ফোরণ হয়। ফেলে কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আল রেজাই রাব্বি বলেন, কেন্দ্রের বাইরে ৫০ থেকে ৬০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বোমাবাজির পরে ভোটাররা আতঙ্কে আছেন। এ কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ভোটার উপস্থিতি কমে যায়। বেলা ১১টা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট সংঘর্ষ চলে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম সালাউদ্দিন জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এখন স্বাভাবিক ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।