ভারতে করোনার ভয়াল থাবা কিছুতেই থামছে না। করোনার সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার। একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে প্রকাশ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কীভাবে সংক্রমণে লাগাম টানা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
দেশজুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে মাত্রাছাড়া এই সংক্রমণে ঘুম ছুটেছে মন্ত্রণালয়ের।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গোটা ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,১৪,০৯,৮৩১। এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১,৫৮,৮৫৬। এই মুহূর্তে দেশটিতে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ২,২৩,৪৩২।
মহারাষ্ট্র, কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, পঞ্জাবসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের কয়েকটি জেলায় সম্পূর্ণ ও কয়েকটি জায়গায় আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজ্যের হোটেল ও রেস্তোঁরার মালিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। হোটেল এবং রেস্তোঁরাগুলোকে কঠোরভাবে কোভিড -১৯ প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি দক্ষিণের রাজ্য কেরালাতেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১,০৯,১২৭০। দক্ষিণের আরও এক রাজ্য কর্নাটকেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। সংক্রমণে লাগাম টানতে কড়া পদক্ষেপের ভাবনা সরকারের। করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে এবার নড়েচড়ে বসেছে কর্ণাটক সরকার।
সংক্রমণ রুখতে সরকারকে ফের যাতে লকডাউনের পথে হাঁটতে না হয় তার জন্য নাগরিকদের সর্তক থাকতে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি জানিয়েছেন, সংক্রমণ রুখতে ফের যাতে লকডাউন ঘোষণা করতে না হয় তার জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা বিধি মেনে চলা আবশ্যক। বাড়ি থেকে বের হলে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার জরুরি। জনবহুল জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।