সাজাদুর রহমান সাজু: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এসএসসি ২০২৪ পরীক্ষায় ৪০ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৮ জন জিপিএ ৫.০০ পেয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ১২২৬।
সরেজমিনে দেখা যায়,১২ ই মে রোববার এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশের পর আনন্দ ও উচ্ছসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ। হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪০ জন শিক্ষার্থী। অংশগ্রহণকারী ৪০ জনই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে আত্মহারা শিক্ষার্থী অভিভাবক ,শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী
তানজিদ জানান,আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার এবং ভালো রেজাল্টের সম্পূর্ণ অবদানটুকু স্কুলের পরিচালক মতিয়ার রহমান লাভলু স্যারের।
জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার জানা, পলাশবাড়ী হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী হয়ে আমি গর্বিত। এমন স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার বিনিময়ে যে সফলতা অর্জন করেছি তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালক সহ সকল শিক্ষকদের।
জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী বাঁধন জানায়, স্কুলের শিক্ষকদের কঠোর ভূমিকা আমাদের সফলতার মূল কারণ। সেই সাথে পরিচালক লাভলু স্যারের নিরলস পরিশ্রম এবং আমাদের প্রতি যে ভালোবাসা তা সত্যি অতুলনীয়। যার উৎসাহ উদ্দীপনায় আমরা এমন সফলতা অর্জন করেছি।
হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মতিয়ার রহমান লাভলু সাংবাদিকদের জানান,প্রথম বারের মতো আমার প্রতিষ্ঠান থেকে চল্লিশ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করায় আমি ধন্য। আমার শিক্ষার্থীরা আমার দেয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে
পলাশবাড়ির ইতিহাসে হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নাম
যেভাবে আলোকিত করেছে সেটা সত্যিই আমার সার্থকতা।হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সু শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ভবিষ্যতে আরো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন ইনশাল্লাহ। ।
পলাশবাড়ী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। ২০১০ সাল থেকে বেশ সুনামের সহিত স্কুলটি পরিচালনা করে আসছেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী পলাশবাড়ী প্রেস ক্লাব ক্রীড়া সম্পাদক সাংবাদিক মতিয়ার রহমান লাভলু। প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশের জন্য বার্ষিক বনভোজন, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় শিক্ষা সহ বিভিন্ন শিক্ষমুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ইতিমধ্য বার্ষিক বনভোজন সরুপ শিক্ষা সফরে দেশের প্রায় সকল পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন এই প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ ছাত্র ছাত্রী। এছাড়াও প্রায় প্রতিমাসে স্কুলের নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করে থাকেন পরিচালক। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহনের ব্যাবস্থা রয়েছে। প্রতিটি ক্লাসরুম শীততাপনিয়ন্ত্রিত। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত, যার ফলে ঘরে বসেই অভিভাবকদের এ্যাপসের মাধ্যমে সন্তানের পাঠদান পর্যবেক্ষণের সুবিধার ব্যাবস্থা করা আছে।