নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ এমপি একরামের দৌরাত্বের কাছে চরমভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে। বছর খানেক আগে একরামের একক আধিপত্যের কাছে দল ও প্রসাশন নিরুপায় হয়ে পড়েছিল। নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে একরাম ব্যাপক বিতর্কের ও সমোলোচনার মুখে পড়ে অবশেষে কেন্দীয় আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তে একরামকে দলের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। এখন প্রাথমিক সদস্য হিসেবে আছেন। জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে নোয়খালী সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চতুর্থবার এমপি নির্বাচিত হন। এমপি হলেও জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কোন কর্মসূচিতে একরামকে ডাকা হয়না। তিনি একা একা এমপি। কিন্তু একা একা এমপির পদ দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগকে নানাভাবে হয়রানী করে যাচ্ছেন।কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কবির হাট উপজেলার ভোটার সাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণ চর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রভাব খাটিয়ে জয়ী করে আনেন বলে জেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ। এদিকে জেলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ৬০ এর দশকের ছাত্র নেতা প্রবীন রাজনীতিবিদ খায়রুল আনাম সেলিম, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও মেয়র জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ইয়াদুদ পিন্টু সহ সর্বস্থরের জেলা আওয়ামী লীগ একরাম কে দল থেকে বহি:স্কারের দাবী জানান কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাছে। এদিকে সুবর্নচর উপজেলা নির্বাচনে যারা এমপি একরামের পুত্র সাবাব চৌধুরীকে ভোট না দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ভোট দিয়েছেন।সেসব দলীয় নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা, লুটপাট, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করার অভিযোগ করছে জেলা আওয়ামীলীগ। একরাম জেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্ব হীন প্রাথমিক সদস্য হলেও এমপি পদের প্রভাব প্রসাশনে বিস্তার করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সিনিয়র সহ-সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাত্তা দিচ্ছে না। প্রশাসন একরামের প্রভাবে প্রভাবিত। সুবর্ণচরের নির্বাচনে এমপি অবৈধ বে-আইনী ভাবে প্রভাব বিস্তার করলেও স্থানীয় প্রশাসন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের কো্ন অভিযোগ আবেদন নিবেদন আমলে নেয়নি বলে জেলা আওয়ামীলীগ জানিয়েছে।