সঞ্জয় বড়ুয়া, রাউজান চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: “দক্ষ জনশক্তি দেশের সম্পদ, একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ'” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাউজানে বিনামূল্যে বিদেশ যাত্রী ও দেশের তরুণদের এসেট প্রকল্পের একহাজার টাকা বৃত্তি সহ সনদায়নের গুরুত্ব বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ মে রবিবার দুপুরে রাউজান সরকারি টিটিসি মিলনায়তনে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (জিএএমপিআই) এবং রাউজান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আর আই টি) এর আয়োজনে রাউজান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে বিষয় ভিত্তিক আলোকপাত করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রকৌশলী ড. জামাল উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আলমগীর পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌর প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান। রাউজান সরকারি টিটিসির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী শ্যামল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট (জিএএমপিআই) এর অধ্যক্ষ আবদুল বাতেনের পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ বক্তা ছিলেন রাউজান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের বিদেশ যাত্রীদের প্রাক বহির্গমন প্রশিক্ষক প্রকৌশলী শরফুদ্দিন আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেঞ্জার টেক জোন -বিডির পরিচালক ও আর আই টি’র কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী সুখময় বড়ুয়া, শাহ এমদাদীয়া চট্টগ্রাম জেলা কার্যকরি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাকিল মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ এ এম কামাল উদ্দিন, রাউজান উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া, দারুতত্বালিম প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আকবর মাস্টার, মোহাম্মদ খোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ ইউসুফ,কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরমান সিকদার, সাজ্জাদ মাহমুদ। বক্তারা বলেন একমাত্র বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কার্যালযের আওতাধীন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত এসেসমেন্ট সেন্টার “গাউছুল আজম মাইজভান্ডারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট (জিএএমপিআই)” এবং রাউজান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আর আই টি) এর উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রসংশনীয়। দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষায় অংশ নিয়ে জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এসময় উপজেলা শিক্ষা, যুব উন্নয়ন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি, ধর্মিয় সংগঠন প্রতিনিধি, আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারি (শাহ এমদাদীয়া) চট্টগ্রাম জেলা, বিভিন্ন উপজেলা ও শাখা কমিটির প্রতিনিধিগন অংশ গ্রহন করেন। উল্লেখ্য মাইজভান্ডারী ত্বরীকার প্রবর্তক গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারির আদরের নাতি ও সাজ্জাদানশীন শাহসুফী সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারির নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমান সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারি কর্তৃক প্রতিষ্টিত এবং নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারির তত্বাবধানে জনসংখ্যা কে প্রশিক্ষণ ও সনদায়নের মাধ্যমে মাইজভান্ডারী দর্শনের প্রথম শর্ত ফানা আনিল খালক অর্থাৎ আত্ম নির্ভরতা অর্জনের জন্য দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে জনমিতির সর্বোচ্চ সুফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।