সূত্র জানায়, ১৭-২৭ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে ৫ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল ১৭ মার্চ প্রথম দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সে সময় মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ৪ টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মালদ্বীপে বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ঢাকায় আসবেন ১৯ মার্চ। সেসময় তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠককালে দু’দেশের সঙ্গে ৫ টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী ঢাকায় আসবেন আগামী ২২ মার্চ। বাংলাদেশে এটাই প্রথম নেপালের কোনো রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক সফর। নেপালের রাষ্ট্রপতির ঢাকা সফরকালে দু’দেশের মধ্যে ৪ টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং আসবেন ২৪ মার্চ। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
আগামী ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৭ মার্চ দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে ৩ টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে যে ৩ টি সমঝোতা স্মারক সই হবে, তার মধ্যে একটি হলো দুর্যোগ মোকাবিলা সহযোগিতা। আর বাকি দু’টি হলো- দুই দেশে ইনস্টিটিউটশনের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৫ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সফরকালে প্রতিটি দেশের সঙ্গেই সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে। তবে অনেক দেশের সঙ্গে এ নিয়ে এখনও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। শেষ সময়ে এসব সমঝোতার যোগ বিয়োগ হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ৫ টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের ঢাকা সফরকালে অনেকগুলো সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।