1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

বিদেশ সফরে ৪৮ লাখ টাকা কোনো টাকাই না: সচিব

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে খরচ হবে মোট ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

৪ হাজার ১২২ কোটি টাকার প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য ৪৮ লাখ টাকা আসলে কোনো টাকাই না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন আল রশীদ।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী। এ সময় প্রকল্পটি যাচাইকারী ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন আল রশীদও উপস্থিত ছিলেন।

বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পে ১৬ জন কর্মকর্তার বিদেশ সফরের ব্যবস্থা রাখা আছে। সেখানে ৪৮ লাখ টাকার একটা বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? জবাবে সদস্য মামুন আল রশীদ বলেন, সাধারণত এখন আমরা বিদেশ সফরের জন্য কোনো টাকা ধরি না। এটাতে আমি নিজেই সম্পূর্ণ জেনে রেখেছি এ কারণে যে, মুক্তিযোদ্ধাদের স্পিরিট, মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিট ফিল করার জন্য বলা হয়েছে। পৃথিবীতে শুধু বাংলাদেশ না, আরও অনেক দেশ আছে যারা দীর্ঘদিন যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। তারা কীভাবে সেসব স্পিরিট ফিল করে, তাদের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে—এগুলো কিছুটা দেখার দরকার আছে। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, ভিয়েতনাম দীর্ঘসময় যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে, তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশ্বযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কী করেছে–এগুলো সম্পর্কে আমাদের কিছুটা আইডিয়া হবে। আর যে প্রকল্প ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকার, সেখানে ৪৮ লাখ টাকা—এটা আসলে কোনো টাকাই না। সে দিক থেকে আমি উৎসাহিত করেছি এবং ওটাতে আমি কোনো রকমের কাটছাঁট করিনি।

বীরনিবাস প্রকল্পটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোট ৬টি নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য বলেন, আমাদের কাছে যখন প্রকল্প প্রস্তাব এসেছিল, সেখানে প্রস্তাব ছিল ১৪ হাজার বীর নিবাস করা হবে। সেটা থেকে পরবর্তীতে দ্বিগুণেরও বেশি করে ৩০ হাজার বীর নিবাস করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের সামান্য কিছু হলেও ভিটেমাটি আছে। সুতরাং ওইখানেই তার ঘর করে দেওয়া হবে। যদি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র পাওয়া যায়, যদি থেকে থাকে যাদের নাই, সেক্ষেত্রে খাস জমি অথবা কোনো না কোনোভাবে ইউএনও ও জেলা প্রশাসক জমির ব্যবস্থা করে তাদের ঘর করে দেবেন। ইতোমধ্যে ১৪ হাজার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত হয়ে গেছে। বাকিটা সামনে চিহ্নিত হয়ে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি