আবুল কাশেম, সখিপুর উপজেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে দালাল ও কর্মাচারীদের যোগসাজসে অধিকাংশ কাজ ঘুস বাণিজ্যের সাথে সম্পন্ন হয়। অনেক গ্রাহক চাঁদাবাজির শিকার হয়ে মাসের পর মাস ঘুরছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, সখিপুর নির্বাচন অফিসের হানিফ নামের জনৈক কর্মচারী উপজেলার বেতুয়া গ্রামের লাকী আক্তার নাম্নী জনৈকা মহিলার নিকট থেকে চব্বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে তার বয়স সংশোধন করেছেন। তিনি তার এনআইডি কার্ড 1992 থেকে 1995 সালের জন্ম তারিখ দিয়ে সংশোধন করেছেন। এতে তার চব্বিশ হাজার টাকা লেগেছে। সখিপুর পৌরসভার 4 নং ওয়ার্ডের রাজু আহমদের জন্ম নিবন্ধনে তার পিতার নাম ইব্রাহিম হলেও তার পিতার এনআইডি কার্ডে ঠান্ডু মিয়া লেখা। এই ঠান্ডু মিয়া লেখা থাকায় 8000 টাকা দিয়ে উক্ত রাজু আহমদের এনআইডি কার্ড বানানো হয়। এই রাজু আহমদের সহোদর ভাই সাজু আহমদের এনআইডি কার্ড হানিফের টাকার চাহিদা পূরণ না করায় করে দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন, আমার সবকিছু সঠিক থাকলেও শুধু তাড়াতাড়ি হওয়ার জন্য তার কাছ থেকে 3000 টাকা নিয়ে এনআইডি কার্ড করে দেয়া হয়। অনেক ভূক্তভোগী উক্ত হানিফের হয়রানীর শিকার হয়ে তাদের কাজ করতে পারছেন না। উল্লেখ্য যে, সাজু আহমদের পিতার নাম ইব্রাহিম ওরফে ঠান্ডু মিয়া মর্মে পৌরমেয়রের প্রত্যয়ন থাকলেও হানিফ মিয়া বলেন, মেয়রের স্বাক্ষর জাল। টাকা না দিলে ওখানে সবকিছু জাল আর বেজাল হয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে অনেক গ্রাহক সাংবাদিকদের নিকট অনুরোধ করেন।