উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ৮৭ উপজেলায় প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ভোট পড়ার প্রকৃত তথ্য জানতে আরও কয়েকঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
বুধবার (২৯ মে) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী ছিলেন। ইভিএমে ১৬ উপজেলায় বাকিগুলো ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। অবাধ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছে। এই লক্ষ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক তৎপর ছিলো।
খুবই সীমিত পরিসরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ভোট কারচুপির চেষ্টায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। দুইজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। একজন প্রিসাইডিং অফিসার অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে।
তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের কারনে যে সংখ্যক উপজেলায় নির্বাচন হবার কথা তা হয়নি। ৮৭ উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন হয়েছে। প্রশাসন তৎপর ছিলো বলে ভালো নির্বাচন ভালো হয়েছে। তারা প্রশংসার দাবিদার। দু-একটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সফল হয়েছে। যে সব ঘটনা ঘটেছে তা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেনি।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৮৭টি উপজেলায় বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ।
সারা দেশে শান্তপূর্ণভাবে সুষ্ঠুভাবে এ ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও রিমালের কারণে ২২টির ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ধাপে মোট ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যমতে, এই ধাপে মোট এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন; অর্থাৎ মোট ১২ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।