সঞ্জয় বড়ুয়া, রাউজান চট্টগ্রামঃ জীবনের ঝুকি নিয়ে জনস্বার্থে কাজ করে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা। প্রচন্ড ঝড় তুফান এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেও হোক দিন বা রাতে নিরলস কাজ করে এই কর্মীরা। এই ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিল অনেকেই। এরকমই একটি দৃশ্য মিলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত রাউজানের লেলাংগারা গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলছে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসে অনেক বড় বড় গাছ পড়ে বৈদ্যতিক খুটি না ভাঙ্গলেও ছিড়ে গেছে তেত্রিশ হাজার ভোল্টের অনেকগুলো তার। যার কারণে দীর্ঘক্ষণ ধরে লেলাংগারা সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বিচ্ছিন্ন ছিল বিদ্যুৎ সংযোগ। এলাকাবাসী সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষকে জানানোর সাথে সাথে নির্দিষ্ট স্থানে ছুটে যায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা। তারা তাদের জীবন বাজি রেখে যথাসাধ্য চেষ্টা করে সংযোগ সংযোজন করতে সক্ষম হয়। তবে এই কাজে তাদের কিছুটা সহযোগিতা করে স্থানীয় জনগণ। দীর্ঘক্ষণ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কেন রাখা হয় এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে জানতে পারি যে কাজের চাহিদার তুলনায় জনবল খুবই কম। উল্লেখ্য যে প্রতি আট হাজার গ্রাহকের অধীনে একটি করে অভিযোগ কেন্দ্র থাকার কথা থাকলেও মিলেনি এমন তথ্য। তবে একটি অভিযোগ কেন্দ্রের আওতায় প্রায় ২৫-৩০ হাজারের বেশি গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে এমন তথ্য উঠে এসেছে। কাজের চাহিদা মোতাবেক জনশক্তি বৃদ্ধি হলে গ্রাহক সেবা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।