দেশে করোনার সংক্রমণের হার যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন বিসিএস পরীক্ষা হলে আক্রান্তের হার বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেক প্রার্থী। একদল পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে আদালতে রিটও করেছিলেন। তবে, হাইকোর্ট সেই রিট খারিজ করে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা আয়োজন করতে পিএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এরপর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ ১২ সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
কিন্তু এই পরীক্ষার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করার পর ‘এ মুহূর্তে পরীক্ষা বন্ধ করা খুবই কঠিন’ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। বুধবার রাতে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
নির্দেশনাগুলো হলো :
১. প্রতিটি পরীক্ষা হলে পর্যান্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২. পরীক্ষার হলের বাইরে পরীক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা/হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. হলে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের সুবিধা রাখতে হবে।
৪. প্রতিটি পরীক্ষা হলের কন্ট্রোল রুমে মাস্ক এবং জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেঝেসহ সকল এলাকা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬. স্বাস্থ্যবিধি পালনের বার্তা সম্বলিত পোস্টার/ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।
৭. অপেক্ষমাণ জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
৮. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি, স্যানিটেশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. পরীক্ষার্থীরা কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব রজায় রেখে হলে প্রবেশ করবে। প্রয়োজনে গোল চিহ্ন দিয়ে দাঁড়ানোর স্থান নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবে না।
১০. আসন ব্যবস্থায় দুইজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব থাকতে হবে।
১১. পরীক্ষা হলের বাইরে অভিভাবকদের সমাবেশ পরিহারসহ যেকোনো ধরনের জনসমাগম পরিহার করতে হবে।