ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর যেসব বুথফেরত জরিপ সামনে এসেছে, তার বেশিরভাগই বলছে, বিরোধী ইন্ডিয়া জোট ১৪৩টি আসন পাবে। তবে শেষ দফা ভোটের দিনই দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। সেই বৈঠক শেষেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রত্যয়ের সঙ্গে ঘোষণা করলেন, ইন্ডিয়া জোট দেশে ২৯৫টির বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। খাড়গে বলেছেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের আসন ২৩৫টির বেশি হবে না।
শনিবার (১ জুন) বুথফেরত জরিপ প্রকাশ হওয়ার পরই এসব কথা বলেন কংগ্রেস সভাপতি।
লোকসভা ভোটপর্বের (Lok Sabha 2024) একেবারে শুরুতে ৪০০ পারের স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সেই স্লোগানই এবারের লোকসভার ন্যারেটিভ হয়ে দাঁড়ায়। শুরুর দিকে ইন্ডিয়া জোটের কোনও নেতা বিজেপির পালটা কোনও সংখ্যা জোরগলায় ঘোষণা করতে পারেননি। ভোটপর্ব খানিক এগোনোর পর ইন্ডিয়া জোটের নেতারা আলাদা আলাদা সংখ্যা বলা শুরু করেন। কেউ বলেন ৩০০ পার, কেউ বলেন ৩৫০ পার। কারও মুখে আবার শোনা যায়, বিজেপি নয় ইন্ডিয়া জোটই পাবে ৪০০-র বেশি আসন।
ভোটের পর্যালোচনা করতে শনিবার দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছিল ইন্ডিয়া। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া জোট শিবিরের প্রায় সব বড় নেতা উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। সেই পর্যালোচনা বৈঠক সেরেই কংগ্রেস (Congress) সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ঘোষণা করলেন, “বিজেপির তৈরি রটনায় কান দেবেন না। ইন্ডিয়া জোট লোকসভায় ২৯৫ আসনের বেশি পেয়ে ক্ষমতায় আসছে। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেতে পারে ২৩৫টি আসন।”
এদিন ইন্ডিয়া জোট যে পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিল তাতে মোটামুটিভাবে সব দলের শীর্ষ নেতাই উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, আপের তরফে কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মানরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদবও। শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরিরাও এদিনের বৈঠকে যোগ দেন। বাংলার ভোটের জন্য তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে খাড়গের জবাব, “আমরা জোটবদ্ধ আছি, বিভাজনের চেষ্টা করবেন না।”