প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করছেন সফররত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সফরসূচি অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান সলিহ। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সলিহর একান্ত ও পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। দুই নেতার উপস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ বেলা আড়াইটায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মালদ্বীপের কমিউনিটির সঙ্গে সলিহর আলোচনার কর্মসূচি রয়েছে।
সফরসূচি অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাবেন সলিহ। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সলিহ বৈঠক করবেন। পরে তাঁর সম্মানে বঙ্গভবনে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। সফর শেষে আজ রাতেই দেশে ফিরে যাবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে সলিহকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে তিনি যান রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ শিরোনামে ১০ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। এই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বলেন, বঙ্গবন্ধু দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের এক মহান ব্যক্তিত্ব। গণতন্ত্র আর মুক্তিকামী মানুষের হৃদয়ে সব সময় সম্মানের আসনে থাকবেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি। তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণা হিসেবে থাকবেন বঙ্গবন্ধু।