1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

রোমাঞ্চকর ম্যাচে সুপার ওভারে নামিবিয়ার জয়

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

মাত্র ১১০ রানের লক্ষ্য। কাজটা সহজই মনে হয়েছিল নামিবিয়ার জন্য। কিন্তু তাদের ইনিংস যত এগিয়েছে, ততই ভর করেছে শঙ্কা। শেষ ওভারে মাহেরান খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বদলে যায় ম্যাচের ভাগ্য। টাই হয়ে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ডেভিড ওয়াইজের অলরাউন্ড নৈপুন্যে সেখানে অবশ্য সহজেই জয় পায় নামিবিয়া।

সোমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে সুপার ওভারে ওমানের বিপক্ষে জয় পেয়েছে নামিবিয়া। শুরুতে ব্যাট করে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান। পুরো ২০ ওভার খেললেও ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানেই থামে নামিবিয়ার ইনিংসও।

টস জিতে বল করতে নেমে স্বপ্নের মতো শুরু পায় নামিবিয়া। প্রথম দুই বলেই উইকেট পান রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। তার লেট সুইং করা ফুল লেন্থের বল গিয়ে লাগে কেশপ প্রজাপতির পায়ে। আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন। ঠিক তার পরের বলে আকিব ইলিয়াসও আউট হন অনেকটা একই রকম ডেলেভারিতে।

দুই বলে দুই উইকেট নেওয়ার পর ওই ওভারে তিন রান দেন ট্রাম্পেলম্যান। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আবার উইকেটের দেখা পান তিনি। এবার ফেরান ৬ বলে ৬ রান করা নাসিম খুশিকে। এবার অবশ্য মিড অফে ক্যাচ দেন নাসিম।

এমন বিপদের শুরুর পর ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান করে ওমান। যদিও পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই তারা হারিয়ে ফেলে আরও এক উইকেট। এবার বার্নাড স্কোল্টজের বলে এলবিডব্লিউ হন ব্যাট হাতে কিছুটা আশা দেখানো জিশান মাকসুদ। ২০ বল খেলে ২২ রান করেন তিনি।

জিশানের বিদায়ের পর আয়ান খানের ব্যাটে চড়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছিল ওমান। কিন্তু এরাসমাসের বলে লং অফে ফ্রাইলিংকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২১ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন আয়ান খান। তার বিদায়ের পর ওমানের ব্যাটাররা আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি।

এর মধ্যে ১৮তম ওভারে এসে ডেভিড ওয়াইজ প্রথম বলে ছক্কা হজম করেন। কিন্তু পরে ওই ওভারে তিনি বাকি পাঁচ বলে দুই রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। ১৯তম ওভার করতে এসে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন টাম্পেলম্যান।

প্রথম দুটির মতো এবার কালিমুল্লাহকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। প্রথমবারের মতো কোনো টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ছয়টি এলবিডব্লিউ দেখা গেলো। ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে শাকিল আহমেদকে আউট করে ওমানকে অলআউট করেন ভিসা। ৩ ওভার ৪ বলে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ট্রাম্পেলম্যানের উইকেট চারটি।

রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারিয়ে ফেলে নামিবিয়াও। বিলাল খানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মিচেল ভ্যান লিনজেন। দুই বলে শূন্য রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর কিছুটা ধীরগতিতে এগোতে থাকে নামিবিয়া। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান করে তারা।

সপ্তম ওভার করতে এসে মেডেন দেন আকিভ ইলিয়াস। বাড়তে থাকা চাপের ভেতর উইকেটও তুলে নেন তিনি। নবম ওভারে এসে প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেছিলেন আকিভ। কিন্তু তার পরের বলে আবার তুলে মারতে গিয়ে লং অফে মোহাম্মদ নাদিমের হাতে ক্যাচ দেন নিকোলাস ডাবিন। ৩১ বলে খেলে ২৪ রান করেছিলেন নামিবিয়ান ব্যাটার।

ওই চাপ আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল ওমানের। কিন্তু তিনটি ক্যাচ ছেড়ে ইরাসমাস ও জান ফ্রাইলিংকের জুটি বাড়তে দেন তারা। ফ্রাইলিংক ও এরাসমাসের ৩৬ বলে ৩১ রানের জুটি অবশেষে ভাঙেন আয়ান খান। লং অনের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে জিশান মাকসুদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৬ বল খেলে ১৩ রান করে ফেরেন এরাসমাস।

এর মধ্যে ম্যাচ জমে উঠে ১৮তম ওভারে এসে স্মিট আউট হলে। মাত্র ১০৯ রান তাড়া করতে নেমে শেষ দুই ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ চলে আসে নামিবিয়ার সামনে। এরপর প্রথম দুই বলে স্রেফ ১ রান দেন বিলাল খান। কিন্তু তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দেন ওয়াইজে। শেষ ওভারে পাঁচ রান দরকার হয় নামিবিয়ার।

ম্যাচের মোড় আরও একবার ঘুরে যায় শেষ ওভারে গিয়ে। মাহেরান খানের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান জান ফ্রাইলিংক। ৪৮ বল থেকে ৪৫ রান করেন তিনি। পুরো ইনিংস ধরে খেলে ফ্রাইলিংকের ফেরার পর বিপদ আরও বাড়ে নামিবিয়ার। দ্বিতীয় বল ডট দেওয়ার পর তৃতীয়টিতে আরও একটি উইকেট তুলে নেন মাহেরান।

চতুর্থ বলে স্ট্রাইক পেয়ে যান ওয়াইজে। পরের বলে তিনি সোজা মেরেছিলেন, কিন্তু বল স্টাম্পে লেগে থেমে যায়। যদিও ওই বল থেকে দুই রান পেয়ে যায় নামিবিয়া। শেষ বলে দুই রান দরকার হয় নামিবিয়ার। কিন্তু নিতে পারে কেবল ১ রান, রান আউট করার সুযোগ থাকলেও পারেননি ওমানের উইকেটরক্ষক। ম্যাচ টাই হয়ে গড়ায় সুপার ওভারে!

সুপার ওভারে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান ওয়াইজে, দ্বিতীয়টিতে ছক্কা। তৃতীয় বলে দুই আর চতুর্থটিতে আসে এক রান। এরপর স্ট্রাইক পেয়ে বাকি দুই বলেই বাউন্ডারি হাঁকান নামিবিয়ার অধিনায়ক এরাসমাস। বিলাল খান সুপার ওভারে দেন ২১ রান।

ব্যাটের মতো বল হাতেও নামিবিয়া আস্থা রাখে ওয়াইজের অভিজ্ঞতার ওপর। প্রথম পাঁচ বলে কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি তিনি। শেষ বলে আকিভ ইলিয়াস ছক্কা হাঁকালেও ততক্ষণে নির্ধারিত হয়ে গেছে ম্যাচের ভাগ্য।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি