1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

রাফা ক্রসিং থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার চায় মিসর

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের রাফা ক্রসিং দিয়ে ফের তৎপরতা শুরু করার জন্য এর ফিলিস্তিনি পাশ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার চায় মিসর।

রোববার কায়রোতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মিসরের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে, এই বৈঠকে মিশর নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল বলে দেশটির দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

মে মাসে রাফা শহরে আক্রমণ শুরু করার সময় ইসরায়েল এই ক্রসিংটির ফিলিস্তিনি পাশটি দখল করে নেয়, পরে তারা গাজার সঙ্গে মিশরের পুরো সীমান্ত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে ক্ষুব্ধ মিসর এই গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংটিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধের হুমকি দেয়।

মিসরের ওই দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্রসিংটি ফের চালুর বিষয়ে কোনো চুক্তি না হলেও রোববারের বৈঠকটি ইতিবাচক ছিল।

বৈঠকে মিসরের প্রতিনিধিরা বলেছেন, যদি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কাজ ফের শুরু করতে রাজি হয় তবে তাদের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য সীমান্তটি ইউরোপীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এর জবাবে ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফা ক্রসিংয়ের কার্যক্রমের বাধাগুলো অপসারণে তারা দ্রুত কাজ করবেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা নিয়ে মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, ২৯ মে-তে তারা গাজা-মিসর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্পন্ন করেছে।

হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা বলে ইসরায়েল তিন সপ্তাহ আগে রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ নিলে মিসরের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। পরে রাফা সীমান্তে ইসরায়েল সেনাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে মিসরীয় এক সেনা নিহত হয়।

মিসর বরাবরই ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে হাজারো বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির নিন্দা জানাচ্ছে।

২০০৬ সালে হামাস ক্ষমতায় আসার পর ইসরায়েলের মত মিসরও গাজা সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। তবে হামাসের সঙ্গে যোগাযোগের পথ তারা খোলা রেখেছে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি