ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষিত হবে আজ মঙ্গলবার। জানা যাবে ৯৭ কোটি ভোটারের রায়। বিশ্বের ইতিহাসে এত ভোটার দেখা যায়নি আর কোনো নির্বাচনে। বিজেপি তৃতীয় বারের মতো ভারতের ক্ষমতায় আসতে চলেছে নাকি শেষ হাসি হাসবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া; তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যাবে আজ।
জনতার রায়ের জন্য সারাদিনের অপেক্ষা পড়ে আছে, তবে এরই মধ্যে বুথফেরত জরিপ বলে দিচ্ছে, সরকার গঠনে হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সামনে ভরাডুবিই হতে যাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের। মোদির আগে কেবল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুই টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বুথফেরত জরিপের ফলাফল দেওয়া শুরু করে ১ জুন, সপ্তম ও শেষ দফার ভোটের পরপরই।
সব জরিপেই দেখা গেছে, বিজেপি ও এনডিএ ৩৫৯ থেকে ৩৯৫ আসন পেয়েছে। বিপরীতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট পেয়েছে ১২৫ থেকে ১৬১ আসন। প্রতিটি জরিপ অনুযায়ী, বিজেপি শুধু হিন্দি-বলয়েই তার অবস্থান ধরে রাখেনি, দক্ষিণেও নিজেদের ছাপ ফেলতে যাচ্ছে। যেমন তামিলনাড়ু ও কেরালায় বিজেপি কখনো একার ক্ষমতায় আসন জেতেনি। তবে এবারের জরিপ অনুযায়ী, বিজেপি তামিলনাড়ুতে এক থেকে তিনটি আসন পেতে পারে, কেরালায়ও পেতে পারে দুই থেকে তিনটি আসন।
এমনকি এবার পশ্চিমবঙ্গেও ভালো ফল করতে পারে মোদির বিজেপি। বিজেপিকে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে এবার বেশ কষ্টই হবে মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের। বুথফেরত জরিপ সে আভাসই দিচ্ছে। রাজ্যটির মোট আসনসংখ্যা ৪২। এ ছাড়া ওডিশা, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশ নিয়েও এবার আশাবাদী বিজেপি।
অবশ্য বুথ ফেরত জরিপ সবসময় যে ত্রুটিমুক্ত হয়, তা নয়। অনেক সময় সমীক্ষার আভাস মেলেও না। তবে, আহামরি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।