1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে জাল নোট তৈরির কারখানার সন্ধান

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

রাজধানীর কদমতলীর দনিয়া এলাকায় জাল মুদ্রা তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সেখান থেকে দেড় কোটি জাল নোট উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে জাকির নামে একজনকে আটক করা হয়। ওই ব্যক্তি জাল নোট তৈরি চক্রের হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (৮ জুন) সকালে অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য দিয়েছে ডিবি।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, আসছে কোরবানির ঈদকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। ঈদকে ঘিরে এরইমধ্যে প্রায় দুই কোটির টাকার জাল নোট মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। কিছু টাকা পাইকারি পর্যায়ে বিক্রিও করেছে চক্রের হোতা লেকায়ত হোসেন জাকির। ২০২০ সালে একই অপরাধে ডিবির হাতে আরেকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত জাকির জানান, আগে পাঁচশ এক হাজার নোটের চাহিদা বেশি থাকলেও এখন ছোট নোটের চাহিদা বেশি। এক হাজার টাকার একটি এক লাখ বান্ডিল সর্বোচ্চ আট হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। ছাপাতেন ইন্ডিয়ান রুপিও।

এর আগে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে জাল নোট প্রস্তুতকারী একটি চক্রের হোতা হৃদয় মাতবরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বিপুল জাল নোট জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, হৃদয় ইউটিউব দেখে জাল নোট বানানোর প্রক্রিয়া রপ্ত করে। এরপর নিজের কম্পিউটার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে শুরু করে জাল টাকা তৈরি। ঈদ টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করছিলেন হৃদয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, হৃদয় আগে থেকেই কম্পিউটার বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। দোলাইরপাড় এলাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতএন তিনি। পরে জাল নোট তৈরি শুরু করেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে জাল টাকা বিক্রির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। অনেক পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা তার কাছ থেকে জাল টাকা কিনে নিতেন। প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে আসছিলেন। তবে ঈদ উপলক্ষে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ১ লাখ টাকার জাল নোট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি