1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

তর্কাতর্কির পর উত্তেজিত হয়ে গুলি ছোড়েন কাওসার : ডিএমপি

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল হকের সঙ্গে কনস্টেবল কাওছার আলীর তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। তর্কাতর্কির পর উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল কাওছার ৮-৯ রাউন্ড গুলি ছোড়েন সহকর্মী মনিরুলকে উদ্দেশ্য করে।

তবে কী নিয়ে তর্ক ও কী কারণে কনস্টেবল কাওছার উত্তেজিত ছিলেন সে বিষয়ে এখনো জানাতে পারেনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তদন্ত করে সেটি বের করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে বিরোধ ছিল- এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কাওছারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, কিন্তু বিরোধের কোনো তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অভিযুক্ত কাওছারের গত এক-দুই মাসের ডিউটির রেকর্ড দেখেছি। রেকর্ডে কাওছার যথাযথভাবেই ডিউটি করেছে।

‘গুলি করার আগে তদের মধ্যে কী বিষয় নিয়ে তর্ক হয়েছিল এখনো কনফার্ম হতে পারিনি আমরা। তদন্তে করে জানা যাবে’- যোগ করেন ড. মহিদ উদ্দিন।

ডিএমপির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গুলি করেই তিনি হতভম্ব। এই কারণে বারবার বলছিলেন, ‘এটা কীভাবে হয়ে গেলো। আমি জানি না।’

‘অর্থাৎ নিজের সহকর্মীকে এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর মাসনিকভাবে নার্ভাস থাকে। যে কারণে ঘটনা ঘটানোর পরও অস্ত্র রেখে কনস্টেবল কাওছার সেখানে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। কারণ তিনি স্ট্রেসটা নিতে পারছিলেন না। ঘটনার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন হয়তো কত বড় অন্যায় ও অমানবিক কাজ করেছেন। হয়তো দু-একদিন গেলে বোঝা যাবে গুলি করার কারণ।’

অতিরিক্ত ডিউটির কারণে কনস্টেবল কাওছার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ বলেন, ‘না, ডিউটির কারণে কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। এখন কোথাও ডিউটির অতিরিক্ত চাপ নেই। স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি করছেন সবাই।’

সামগ্রিকভাবে পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাউন্সেলিংয়ের সিস্টেম নেই। তবে আমরা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কী করা যাবে, কী করা যাবে না; সে সম্পর্কে বলা হয়। এটাও এক ধরনের কাউন্সেলিং।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি