ঢাকা রিপোর্টার: তাঁদের পথচলার শুরু ১৯৮৪ সালে। ব্যান্ডের নামেই প্রকাশ পেয়েছিল তাঁদের প্রথম অ্যালবাম। সেই সালটা ১৯৯১। তবে তাঁদের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটেছিল ‘যতদূরে’ গান দিয়ে। এটি ছিল ওয়ারফেজের ‘আলো’ (২০০০) অ্যালবামে। গানটি শোনার পর কী যে এক ঘোর আটকে ধরেছিল! সেই ঘোর থেকে কখনো মুক্তি মেলেনি। আনমনে গাইতে থাকা—‘চুপচাপ চারিদিক, মাতাল হাওয়া/ পাখিদের কোলাহলে, মন যে হারায়/ হঠাৎ দেখি তোমাকে, অচেনা ছায়াই/ আমারই স্বপ্নে আঁকা এ যে তুমি।’
যতদূরে’ শুনতে শুনতে সবাই গলা মেলাতেন—‘যতদূরেই থাক, রবে আমারই/ হারিয়ে যেও না, কখনও তুমি।’
গানটি শুনে মনে হলো—আরে এ তো আমার হৃদয়ের কথা, আমারই অনুভূতি। এরপর থেকেই ওয়ারফেজের প্রতি ভালোবাসার সৃষ্টি হওয়া। প্রথম গান শোনার এ রকম কিছু গল্প, কিছু স্মৃতি তো সবারই থাকে।
ঘোরগ্রস্ত হয়ে ইয়ারফোনে একটানা কত রাত-দিন যে আমার কেটেছে—‘বসে আছি একা/ কাঁচা রোদ বিকেলে উদাস/ বৃষ্টি শেষে রূপালি আকাশ/ মেঘে জানালাতে/ ঝিলমিল সোনালি আভায়।
ওয়ারফেজ প্রথমদিকে আয়রন মেইডেন, হোয়াইটস্নেক—এসব অনত্যম মেটাল ব্যান্ডগুলোকে কাভার করত। তারপর ১৯৯১ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) আয়োজিত এক কনসার্টে গান করার মাধ্যমে বাংলায় তাঁদের নিজস্ব মেটাল, হার্ড রক কিংবা প্রগ্রেসিভ রক ধারার জানান দেওয়া।
এখন পর্যন্ত প্রকাশ পেয়েছে ওয়ারফেজের ৮টি অ্যালবাম। সেগুলো—‘ওয়ারফেজ’, ‘অসামাজিক’, ‘জীবনধারা’, ‘অবাক ভালোবাসা’, ‘আলো’, ‘মহারাজ’, ‘পথচলা’ ও ‘সত্য’। এর মধ্যে ব্যান্ডটির লাইনআপেও মাঝেমধ্যে এসেছে পরিবর্তন। বর্তমান সদস্যরা হলেন টিপু (ড্রামস), পলাশ (ভোকাল), কমল (লিড গিটার), রজার (বেস), শামস (কি-বোর্ড), সৌমেন (রিফ গিটার) ও সামির (লিড গিটার)। এর আগে ছিলেন সঞ্জয়, বাবনা করিম, মিজান রহমান, বালাম ও রুমেল আলী। একদম শুরুর দিকে ওয়ারফেজের প্রতিষ্ঠাতা দলে ছিলেন কমলসহ হেলাল, মীর, নাইমুল ও বাপ্পি। এছাড়া বেজবাবা সুমন, ফুয়াদ ইবনে রাব্বি, ভুলাসহ অনেকেই বাজিয়েছেন এই ব্যান্ডে।