রমজান সামনে রেখে ইফতারে জনপ্রিয় ছোলা আসছে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। প্রায় প্রতিদিনই খালাস হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা ছোলা।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫০ হাজার ৩৪ মেট্রিক টনের বেশি ছোলা খালাসের ছাড়পত্র দিয়েছি আমরা। গত ১-১৬ মার্চ পর্যন্ত খালাস হয়েছে ৯ হাজার ১৮২ টনের বেশি। অস্ট্রেলিয়া থেকেই বেশি ছোলা আমদানি হচ্ছে। তবে কানাডাসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকেও ছোলা আসছে।
বেসরকারি আমদানিকারকদের পাশাপাশি ছোলা আমদানি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশও (টিসিবি) প্রচুর ছোলা আমদানি করছে রমজান সামনে রেখে। টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, টিসিবির জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে তিন দফায় ১০৫ কনটেইনারে আড়াই হাজার টন ছোলা এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এভাবে ছোলা আসতে থাকবে। আমরা বন্দর থেকে খালাস করে এসব ছোলা দেশের বিভিন্ন স্থানে টিসিবির গুদামে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশাকরি এপ্রিলের শুরু থেকে টিসিবির ট্রাকে ছোলা পাবেন ক্রেতারা। বর্তমানে টিসিবির ট্রাকে লিটার ৯০ টাকায় সয়াবিন, ৫০ টাকায় চিনি ও ৫৫ টাকায় মশুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ আছে।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ডাল মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ দে বাংলানিউজকে জানান, খাতুনগঞ্জে মানভেদে অস্ট্রেলিয়ার ছোলা প্রতিমণ ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে সেরা মানের অল্প কিছু ছোলা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬০০ টাকা। মিয়ানমারের ছোলা এখনো খাতুনগঞ্জে আসেনি।
একজন আড়তদার বাংলানিউজকে বলেন, ছোলার চাহিদা মধ্য রমজান পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি থাকলেও সারা বছর চলে। ছোলা ডাল হিসেবেও বিক্রি হয়। মূলত শবে বরাতের কয়েকদিন আগে থেকে পাইকারি বাজারে ছোলার চাহিদা বাড়তে থাকে।
চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৭৫-৮০ টাকা। পাকিস্তানি কাবলি ছোলা (সাদা, বড় দানা) বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ছোলা যেহেতু সারা বছর বিক্রি হয় তাই রমজানে যাতে অতিরিক্ত মজুদ করতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে প্রশাসনের। বিশেষ করে রমজানের আগে থেকে পাইকারি ও খুচরা মার্কেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। টিসিবি প্রথম দিকে মাঠে থাকলেও রমজানের মধ্যখানে উধাও হয়ে যায়। এ বিষয়টিও মনিটরিং করতে হবে।