কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ ভারতীয় শ্রমিক। ভারতের বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে করে কুয়েত থেকে তাদের লাশ দেশে আনা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে লাশ নিয়ে সি-১৩০ জে বিমান কুয়েত থেকে যাত্রা করে বেলা ১১টায় কেরালার এর্নাকুলাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মৃতদের অধিকাংশই কেরালার বাসিন্দা হওয়ায় বিমানটি প্রথমে সেখানে নামে।
সকাল থেকেই মৃতদের পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষা করছিলেন বিমানবন্দরে। বিমানে করে লাশ ফিরতেই শোকের ছায়া নেমে আসে বিমানবন্দরজুড়ে।
অগ্নিকাণ্ডে ৫০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪৫ জনই ভারতীয়। দুজন ফিলিপিন্সের। আর দুটো দেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
নিহত ভারতীয় শ্রমিকদের ২৩ জনই হলেন কেরালার বাসিন্দা। তবে এদের মধ্যে সাতজন থাকতেন তামিলনাডুতে। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের তিনজন করে শ্রমিক মারা গেছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উড়িষ্যার দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবের একজন করে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ভোরে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। সেখানে মূলত ১৭৬ ভারতীয় শ্রমিক বাস করতেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আরব টাইমস জানায়, কর্তৃপক্ষের চালানো তদন্তে দেখা গেছে, কুয়েতের ছয়তলা ওই আবাসিক ভবনের নিচতলায় নিরাপত্তাকর্মীর কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এসব শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে দ্রুত ভারতীয়দের লাশ ফিরিয়ে আনতে কুয়েত যান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। পরে কীর্তিবর্ধন সিং ফিরে আসেন।