গোলাম রব্বানী: গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে নিজের গর্ভে থাকা সন্তানকে মেরে মেডিকেল সার্টিফিকেট বের করে লিজা বেগম বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় সুবিধা না পেয়ে মামলা দায়ের করেন গোপালগঞ্জ আদালতে। মামলার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অভিযোগ করেন একই সমাজের ও তার বাড়ির চারপাশের লোকজন। তারা বলেন, মামলায় যে গোন্ডগোল দেখিয়েছে এরূপ কোন ঘটনা এলাকায় ঘটেনি, আর শরীফুলের স্ত্রী লিজা দীর্ঘ বহু বছর যাবৎ বাড়িতে থাকেনা, তারা ঢাকায় কাজকর্ম করে খায়। লিজা বেগম মামলা দেওয়ার পর এলাকাবাসী জানতে পারেন যে এখানে একটি গোন্ডগোলকে কেন্দ্র করে মামলা হয়েছে। ঘটনার কোন সত্যতা নাই প্রকাশ করায় পাটগাতী ইউনিয়নের দফাদার কদম আলী শেখকে ১ নং আসামী করে নিরীহ আরো ৭ জনকে ফাঁসালেন এই কুচক্রী লিজা বেগম ও তার পরিবার।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে গণমাধ্যম কর্মীদের একটি দল ছায়া তদন্তে সরেজমিনে গেলে দেখতে পায় বহু বছর ধরে ব্যবহার না করা একটি ভাঙাচোরা টিনের ঘর পড়ে আছে। ঘরের সামনের দরজায় বিভিন্ন রকমের আগাছা গাছ জন্মেছে, ভিতরে বাসা বেধেছে পোকা মাকড়, ঝোপ জঙ্গলে ভরা ঘরটির বাইরের রান্নাঘর, পায়খানা ও বসবাসরত ঘরের জরুরি প্রয়োজনীয় পানির কোন ব্যবস্থা পর্যন্ত নাই। বহু বছর ধরে এই ঘরে বসবাস করেছে বলে মনে হয় নাই। এলাকাবাসীদের বক্তব্যে বোঝা যায় পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধিতার জেরে এই ঘটনাটি সাজিয়ে মামলা করে নাজেহাল করছে তারা।
এ ব্যপারে লিজা বেগমের পাশের বাড়ির ছবুর শেখ বলেন, শরীফুলের স্ত্রী দফাদার সহ যাদের নামে মামলা করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সে এখানে গোন্ডগোলের যে মনগড়া কাহিনি সাজিয়েছে তা সঠিক নয় কারণ আমি তার পাশের বাড়ির আমি দেখি নাই এখানে কোন গোন্ডগোল হয়েছে। শরীফুল ও তার স্ত্রী বহু বছর যাবৎ এই বাড়িতে আসে না, থাকেনা তারা ঢাকায় থাকে লাকী ঢাকায় কাজ করে বলে আমি জানি।
এ ব্যপারে এস্কেন্দার নামক একজন বলেন, আমার ঘর আর শরীফুলের ঘর পাশাপাশি। তাদেরকে আমি ছোটবেলা থেকেই এখানে আসতে দেখি নাই। তারা যে মামলাটা করেছে এরূপ কোন ঘটনা এখানে ঘটেনি। কিছু হলে আমরা জানতে পারতাম।তারা বাড়িতে না এসে গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করেছে নিরীহ কিছু লোকজনের নামে। মামলার ঘটনাটি একটি বানোয়াট কাহিনি।
মামলা ও ঘটনার ব্যপারে শরীফুলের পিছের বাড়ির রাবেয়া বেগম বলেন, এই যায়গায় যা আমরা শুনতেছি তা আমরা কিছুই জানি না। এরা এদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করছে। ওড়াত বাড়িই থাকেনা।গোপালগঞ্জ কোর্টে এসে একটি মামলা করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। আমরা এর সুস্থ সমাধান ও একটু শান্তি চাই।
মামলার নং আসামী ভুক্তভোগী কদম আলী দফাদার বলেন, আমি পাটগাতী ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি, আমার বাড়ি লিজা বেগমের বাড়ির ১ কিলোমিটার দুরে বাড়ি। ব্যাপারটি জানার পর আমি সরেজমিনে গিয়ে জানতে পাই এখানে কোন গোন্ডগোল বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। লিজা বা তার পরিবার বাড়িতে এসেছে আশপাশের কেউ দেখেনি বা শোনেনি। এদের ভিতরে আগে থেকেই জমিজমা জেরে মতবিরোধ ছিল। শরীফুল ও তার স্ত্রী প্রায় বহ বছর এই ভিটায় পা রাখেনি, লিজার পেটের সন্তান কে নিয়ে যে মামলা দায়ের করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ ব্যপারে এলাকার গণ্যমান্য সমাজপতিদের মধ্যে সাবেক পুলিশ সদস্য লৎফর রহমান মোল্লা ও মো. মোফিজুর রহমান মোল্লা নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, লিজা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা আদালতে দায়ের করে কিছু সাধারণ পরিবারকে নাজেহাল করছে। আমাদের জানামতে মামলার বাদী যে স্থানে মামলার স্থান দেখিয়েছে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। আজকাল প্রায়ই শুনা যাচ্ছে হাসপাতালে গিয়ে টাকা দিয়ে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে মেডিকেল সার্টিফিকেট বের করে মামলা দায়ের করে নাজেহাল করছে নিরীহ মানুষদের। লিজা বেগমের করা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ও সাজানো নাটক। প্রশাসন ব্যপারটি আমলে এনে তদন্ত করলে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যাবে। আমাদের সকলের দাবি প্রশাসনের নিকট প্রকৃত ব্যপারটি সামনে আনার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।