শেরপুরঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা ও ড্রেন নির্মান করা হয়েছে। ফলে হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা গেছে, গত প্রায় ৫ বছর পুর্বে শেরপুর -রাংটিয়া সড়কটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা পুর্বের তুলনায় রাস্তা নির্মান না করে দুপাশে ১০ ফুট করে বাদ দিয়ে মাঝে নির্মাণ করা হয়। জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো.আবু তাহের বলেন দুপাশে বাদ পড়া রাস্তাটি গত ৫ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি। ফলে শহরবাসী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি উচু নিচু হওয়ার কারনে এ রাস্তায় মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারের বনিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন,সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন শুধু রাস্তাই নয় উপজেলা সদরের ১ কিলোমিটার ড্রেনও নির্মাণ করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। এতে মৌসুমে যেমন তেমন বর্ষা মৌসুমে কাদা ও ময়লাযুক্ত পানি রাস্তায় উঠে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়। ফলে দুর্গন্ধে পথচলা কষ্টকর হয়ে পরে পথচারিদের। স্হানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাগবে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের দাবিও তুলেছেন। কিন্তু রাস্তা ও ড্রেনটি আজও নির্মাণ করা হয়নি।
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা সদরের রাস্তার দুপাশে ১কিলোমিটার ড্রেন ও নির্মাণের বিষয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনারে আলোচনা ও হয়েছে। আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি । সড়ক ও জনপদ বিভাগের শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম বলেন ড্রেনের কিছু অংশ নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি ড্রেনগুলো নির্মাণের বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছ। বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দুপাশের রাস্তাও নির্মান করা হবে।