মুস্তাকিম নিবিড়ঃ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেশিরভাগ শাসনভার ছিলো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির হাতে। একের পর এক স্বৈর শাসন প্রতক্ষ্য করেছে এদেশের জনগন। স্থিতিশীল সরকারের অভাবে অন্যায়, দূর্নীতি, দখলদারিত্বের থাবায় যেনে দুমড়ে মুচড়ে যেতে বসেছিলো মানচিত্র। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের মধ্যবর্তী রাজধানী শহর ঢাকা, আঁকাবাকা খাল বিল ছিলো যার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য। সেইসব খাল বিল নদী নালা দখলবাজরা পুরোটাই গিলে ফেলে ছিলো। রাজধানীর প্রতিটি খাল, জলাশয় ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল একের পর এক গড়ে তুলেছিলো বানিজ্যিক স্থাপনা। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাজধানীর আনাচে-কানাচে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নগরবাসীকে ভোগান্তির চরম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলো। যা মাথায় রেখে জলাশয় পুনরুদ্ধারে কোমর বেঁধে নেমে ছিলেন মেয়র তাপস, একের পর এক নদী, খাল, বিল উদ্ধার করে জলাশায় অবমুক্ত করায় রাজধানী ঢাকা মুক্তি পেয়েছিল জলাবদ্ধতা থেকে।
কিন্তু মেয়র তাপসের এই অসামান্য সাফল্যকে নস্যাৎ করতে শুরু থেকেই এক পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে, তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা উদ্ধারকৃত খাল বিলগুলো আবার দখল করে নিচ্ছে। যাতে পানির ড্রেনেজ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নগরবাসীকে বিপদে ফেলে মেয়র তাপস কে প্রশ্নবিদ্ধ করাযই যেন তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচনের আগেই ঘোষনা দিয়েছিলেন জলাশয়ের উপর অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে জলাবদ্ধতা নিরসনের। নির্বাচিত হওয়ার পর কথা কাজের মিল ও পাওয়া গেছে। প্রায়ই দেখা যায় দলবল নিয়ে বুড়িগঙ্গার পাড়, বিভিন্ন দখলকৃত খাল উদ্ধারে নিজেই স্বশরীরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন মেয়র। যেখানেই অবৈধ খাল সেখানেই স্বশরীরে এসে হাজির, অবৈধ উচ্ছেদের কারনে দখলবাজদের কাছে রীতিমতো এক আতঙ্কের নাম মেয়র তাপস। রামপুরা,বসিলা,জুড়াইন,ডেমড়া,হাজরীবাগ, কামড়াঙ্গীর চড়, গেন্ডারিয়া, শ্যামপুর এলাকায় প্রায় ত্রিশটির ও বেশি দখলকৃত খাল উদ্ধার করেছেন মেয়র তাপস। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সিএস পর্চা ধড়ে এসব জলাশয় উদ্ধার কার্য পরিচালনা করছে ঢাদসিক। উদ্ধার কৃত খালের জমিতে নান্দনিক স্থাপনা তৈরী ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশনা দিয়ে চলছেন মেয়র তাপস। একই তালে বুড়িগঙ্গার পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা গুলো গুড়িয়ে দিচ্ছেন। মেয়র তাপসের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি উদ্ধারকৃত খালের মধ্যে অন্যতম গেন্ডারিয়া এলাকার মহিশা খাল ও ডিআইটি প্লটের পুকুর । ৪৬ নং ওয়ার্ডের ধোলাইখালের উপশাখা খালটি প্রায় ৪০ বছর ছিলো ভুমি দস্যুদের ভোগ দখলে। সরকারের জমিতে নানান স্থাপনা করে যুগের পর যুগ অবৈধ টাকার সাধ নিয়েছেন সে সকল দখলবাজ মহল। বছরখানেক আগে মহিষা খালটিও করলেন উদ্ধার।এতে অনেকটা বাধায় পড়তে হয়েছিলো নগড় ভবন সংশ্লিষ্ট দের।
স্থানীয় কাউন্সিলর এবং ১ম প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ মিনুও সফল ভাবেই উচ্ছেদ কর্মকান্ড সম্পন্ন করেন। যদিও দু একটা বাড়ি না ভাঙায় জনমনে বিভ্রান্তি রয়েছে। উদ্ধার কৃত খালের জমিতে হরদমই খেলাধুলায় মেতে থাকে স্থানীয় শিশু কিশোর। নিশ্চই ঘিঞ্চি শহরে মুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশু কিশোরদের অধিকার
। খালটি উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয় রা মেয়র তাপসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আর দখলদারদের মায়া কান্নার সুরে গুজব ও বিদ্রোহের ছোয়া। কিন্ত এতোদিন দখলদার রা খালের জমি থেকে যে অবৈধ টাকা উপার্জন করেছে, এ গুলোর হিসেব নিবে কে? জবাব দিহিতা না থাকায় যেনো পুনঃরায় রাক্ষসের থাবায় পরেছে উদ্ধারকৃত খাল গুলো। যাতে করে জলজট সৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীর আনাচে-কানাচে। মেয়র তাপসের উদ্ধারকৃত খাল ও জলাশয় গুলো ফের ভরাট করে দখলদাররা যেনো আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে ষঢ়যন্ত্রের নীল নকশা আঁকছেন। মেয়র তাপসের সফলতা ধরে রাখতে হলে করতে হবে উদ্ধার কৃত জমিগুলোর সঠিক ব্যাবহার। তখন সফলতার সাথে নগরায়নেও বিবেচিত হবেন নগর পিতা।