কিবরিয়া চৌধুরীঃ কোটা বিরোধী আন্দোলন নতুন দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে।জামায়াত, বিএনপির সমর্থিত ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সংস্কৃতিক কর্মীরা নিরপেক্ষতার ব্যানারে মাঠে নেমে গেছে। সরকার কোটার দাবী পুরন করার পরও আন্দোলন থামেনী।ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল পরীক্ষাথীকে মুক্ত করা হয়েছে। আটক ছাত্রদের মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আন্দোলনরত ছাত্র নেতাদের বৈঠক করার ঘোষনা দিয়ে গনভবন খুলে রেখেছেন।সাইদ হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ‘দু’জন পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারপরও পরিস্থিতি এ পর্যন্ত গড়াচ্ছে কেন? ডিবির হারুনকে বাড়তে দেয়ার খেসারতে পুরো জাতিকে মূল্য দিতে হচ্ছে।ওবায়দুল কাদের, পলক ও আরাফাতের ইগোযুক্ত দম্ভুক্তি ছাত্র সমাজকে বেশী করে ক্ষুব্ধ করেছে। আবার এদিকে ব্যবসায়ী শাহ আলেমের দম্ভুক্তি সাধারন মানুষকে আরো বেশী ক্ষুব্ধ করেছে। ঢাকা সহ-বিভিন্ন শহরের আন্দোলন ছিল।এখন মফস্বল শহরে গড়িয়ে পড়েছে। সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু, কিশোর আন্দোলনে শরীক হচ্ছে। কোটা বিরোধী আন্দোলন এখন আর নেই। সেটা সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঠেকেছে। কোটা আন্দোলনে ঘিরে সরকারবিরোধী অবস্থান নেয়ার জানান দেয়া হচ্ছে। অপর দিকে আওয়ামীলীগের সুবিধা ভূগীদের পলায়ন পরতায় আন্দোলন কারীরা গতি পচ্ছে। সর্বশেষ সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা আহ্বান করে দলের সাধারন সম্পাদক দম্ভুক্তি করেছেন। নেতাদের তো্পের মূখে পড়েছেন। তাতে কি বার্তা পেল জাতি। সরকারী দলের মধ্যে ঐক্য নেই। ধীরে ধীরে সরকার ও সরকারী দলের নেতাদের নানাবিদ অহমিকার কারনে কোটা আন্দোলনের গতিপথ বদল হচ্ছে। এর পিছনে জামায়াত বিএনপি তো সরাসরি জড়িত। তাদের হয়ে তাদের সমর্থিত পেশা জীবীরা আজান দিয়ে মাঠে।ইতিমধ্যে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তাদের এই কর্মসূচীতে বিএনপি মহাসচিব সর্বাত্মক সমর্থন সহায়তার কথা বলেছে। উদ্দেশ্য, একটি অনির্বাচিত অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্দোলন কারীরা ও তাদের মিত্ররা সরকারের পদত্যাগ দাবী করছে। সরকার পদত্যাগ করলে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সরকার কোথায় যাবে? কারা সরকার গঠন করবে? সংবিধানে অনির্বাচিত সরকার বলতে কিছু নেই।এমনকি এক সেকেন্ডর জন্য অনির্বাচিত কেউই সরকার গঠন করতে পারবে না। অনির্বাচিত কেউ সরকার গঠন করলে সরাসরি ফাঁসি।তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। সরকারকে পদত্যাগ বাধা করতে জালাও পোড়াও স্থাপনায় হামলা অরাজকতা সৃষ্টি করা হবে। সে পথে হাঁটছে বিএনপি জামায়াত। সরকার ও সরকারী দলের উচিৎ হবে শক্তিপূর্ন ভাবে রাজপথ দখল করা্। মূলত দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মাঠে নামিয়ে জনগনের সাথে বুকমিলিয়ে আসন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা।বুঝতে হবে এখানে মস্তবড় ষড়যন্ত্র চলছে। অধ্যপক আসিফ, ড. ইউনূস,ড. মামুন, ফেরদৌসরা অনির্বাচিত সরকার চাইছে।এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য মুক্তি যুদ্ধের সকল শক্তি এবং আওয়ামী পরিবারের সকলকে সংবিধান রাস্তাঘাট, বিরোধী, অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক তৎপরতা একযোগে প্রতিহত করার জন্য শান্তিপূর্নভাবে মাঠে নামতে হবে। রাস্তাঘাট, অলিগলি, পাড়া মহল্লা আয়ত্ব রাখতে হবে। যেসব ব্যাবসায়ী ও সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন সাথে থাকার ঘোষনা দিয়েছেন। তাদেরকে মানুষ মাঠে দেখতে চাইছে।