1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন

মাঙ্কি পক্স কি ?

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

মোঃ দেলোয়ার হোসেন: করোনাভাইরাস মহামারির পর আরেক উদ্বেগের নাম এখন এমপক্স। সম্প্রতি আফ্রিকার দেশগুলোতে এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আফ্রিকার বাইরেও সুইডেনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)।
চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত এমপক্সে সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এবং মারা গেছেন অন্তত ৪৫০ জন।
বৃষ্টিপ্রধান আফ্রিকার ক্রান্তীয় বনাঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো) অন্যতম। এখানে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হন এবং শত শত মানুষ মারা যান। বিশেষ করে ১৫ বছরের নিচের শিশু-কিশোররা বেশি আক্রান্ত হয়।
এমপক্সের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে ক্লেড ১ এবং ক্লেড ২। ২০২২ সালে এমপক্স নিয়ে ডব্লিউএইচও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল, যা ক্লেড ২ এর মৃদু সংক্রমণের কারণে জারি করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে বেশি প্রাণঘাতী ক্লেড ১ এর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে, যেখানে মৃত্যুহার ১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
বর্তমানে অনেকগুলো দেশে বিভিন্ন প্রাদুর্ভাব একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে- বিশেষ করে কঙ্গো এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে।
রোগটি সম্প্রতি বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা এবং কেনিয়াতে দেখা গেছে যা সাধারণত সেখানে দেখা যায় না।
আক্রমণের সময় প্রথম দিকে পাঁচ দিন মত জ্বর থাকে। সঙ্গে মাথাব্যথা, ফোসকা দেখা যায়। জ্বর হওয়ার দুদিনের মধ্যে চামড়া ফাটতে শুরু করে। হাতের তালু, পায়ের তলায় ফোসকা পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে চোখ, যৌনাঙ্গেও। জানা গিয়েছে, এটি ডিএনএ ভাইরাস হওয়ার কারণে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগটি চিহ্নিত হয়ে থাকে।
গতকাল বাংলাদেশে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরী অবস্থা জারি করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি