৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়। রাজধানীসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের ৩৫৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশ। অংশ নেয়নি প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী।
৪১তম বিসিএসের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে ১৯ মার্চ পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৭ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৯৯ হাজার ৬০৬ জন। এর আগে ৪০তম বিসিএসে পরীক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৭৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, এ অনুপস্থিতির কারণ মূলত কোভিড-১৯ এবং আরেকটি কারণ এ পরীক্ষায় এক বছরের বেশি সময় আগে আবেদন করা হয়েছিল। তাদের অনেকেই বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। সে জন্য পরীক্ষায় উপস্থিতি কিছুটা হলেও কম বলে মনে করছে পিএসসির একাধিক সূত্র।
দুই হাজার ১৬৬টি পদে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৪১তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষাতে প্রভাষক ৯০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক ১০ জন নেয়া হবে।
প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩ জন, পুলিশে ১০০ জন, বিসিএস স্বাস্থ্যতে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহা হিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক ৮ জন নেওয়া হবে।
এছাড়া পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ৩ জন নেয়া হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন।
সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল পদে দুজন, বিসিএস মৎস্যতে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) ১৫ জনসহ মোট ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হবে।