1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

পাইকারিতে আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে দফায় দফায় পাইকারি বাজারে কমছে পেঁয়াজের দাম। তিনদিনে পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। ভারতের পেঁয়াজ আড়তে পৌঁছালে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, হুট করে ভারত রফতানি বন্ধ করায় পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। ফলে পাইকারিতে বিক্রি শূন্যের কোঠায় নামে। স্টোর বোঝায় পেঁয়াজ নিয়ে ক্রেতারা বসে থাকছেন কিন্তু ক্রেতা আসছে না।
তারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার আগে রফতানির অনুমতি পাওয়া ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশকে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ বোঝায় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালের মধ্যে এসব পেঁয়াজ শ্যামবাজারের পৌঁছাতে পারে। আড়তে পৌঁছালে দাম আরও কমবে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে পেঁয়াজের সব থেকে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৭০-৭২ টাকা। তার আগের দিন ছিল ৭৭ টাকা। ভারত রফতানি বন্ধ করায় এ পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। অপরদিকে আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৬০-৬৫ টাকা।
আজ পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে নতুন করে কমেনি। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গতকালের মতো দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। আর আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।
এর আগে গত সোমবার হুট করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। ফলে মঙ্গলবার ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম খুচরা বাজারে বেড়ে ১১০ টাকা হয়ে যায়। আর পাইকারিতে ৫০ টাকা থেকে বেড়ে পেঁয়াজের কেজি হয় ৮৫ টাকা। কোনো কোনো পাইকার ৯০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ বিক্রি করেন। এমন দাম বাড়ায় আতঙ্কিত হয়ে বাড়তি পেঁয়াজ কেনার হিড়িক পড়ে ক্রেতাদের।
এরপর বৃহস্পতিবার থেকে ক্রেতা সঙ্কট দেখা দেয় পেঁয়াজের বাজারে। যার প্রভাবে পাইকারি বাজারে কমে পেঁয়াজের দাম। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দফায় দাম কমে পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ৭৭ টাকায় নামে। এ পরিস্থিতিতে খবর আসে নিষেধাজ্ঞার আগে রফতানির অনুমতি পাওয়া ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশকে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ভারত। এতেই শনিবার দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম আরও কমে যায়। আর পেঁয়াজ বোঝায় ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করায় আজ পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম আরও কমল।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে শ্যামবাজারের বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মো. কাজল বলেন, আজও কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা কমেছে। গতকাল যে পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি, আজ তা ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ গতকালের মতো ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আসছে, তা হয় তো আজ বিকালে শ্যামবাজারে পৌঁছাবে। পৌঁছালে দাম আরও কমে যাবে। আমরাও চাই পেঁয়াজের দাম কমে আবার আগের মতো ৩০-৪০ টাকা হোক। কারণ পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে আমাদের বিক্রি নেই। আমাদের কাছে পেঁয়াজের অভাব নেই। কিন্তু ক্রেতা আসছে না। পেঁয়াজ বিক্রির এমন খারাপ অবস্থা আগে কখনো হয়নি।
শ্যামবাজারের আজমীর ভান্ডার আড়তের পরিচালক মো. সোহেলুর রহমান বলেন, ভারত রফতানি বন্ধ করার পর দেশি পেঁয়াজ আমরা ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। আজ ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। এরপরও ক্রেতা নেই। লোকসানে মাল বিক্রি করতে হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ পৌঁছালে দাম আরও কমতে পারে।
তিনি বলেন, মানুষের আচরণ বোঝা বড় দায়। যখন পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা হয়েছে তখনও বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন কেজিতে ২০ টাকা লোকসান দিয়েও পেঁয়াজ বিক্রি করা যাচ্ছে না। ভারতের পেঁয়াজ আসলে দাম আরও কমবে, এমন ধারণা করে হয় তো কেউ কেউ পেঁয়াজ না কিনে দাম কমার অপেক্ষা করছে।
এদিকে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মো. সেলিম বলেন, আমার কাছে যে দেশি পেঁয়াজ আছে তা শ্যামবাজার থেকে ৭৫ টাকা করে কেনা। এখন এই পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ যোগ করলে দেখা যাবে লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরও বিক্রি হচ্ছে না। যা শুনছি সামনে আরও দাম কমে যাবে। তখন লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়বে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি