গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) উপাধ্যক্ষ ড. মুখলেছুর রহমান ও তার কয়েকজন সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহিমাগঞ্জে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন উচ্চ শিক্ষার এক মাত্র
প্রতিষ্ঠান মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসা। উক্ত মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে প্রায় ছয় বছর আগে দায়িত্ব পান একই মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ড. মুখলেছুর রহমান। দায়িত্ব পাওয়ার গত ছয় বছরে উক্ত মাদ্রাসায় গড়ে তোলেন তার কিছু সহযোগীেদের মাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়া। নেই কোন নিয়মনীতি,অভিযোগ রয়েছে নিয়োগ বানিজ্যের। হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। যা তদন্তে করলেই বের হবে বলে দাবী।
মাদ্রাসায় দাখিল, আলীম, ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় অসদুপায়ে বিশেষ ভাবে পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রতি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে বাড়তি টাকা নেয়া হত।
কামিল পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ভাইভা পরীক্ষার কথা বলে প্রতি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়ে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ।
তাই নয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাদ্রাসা ফান্ডের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বিভিন্ন ভাউচার মুলে সহযোগী নুরুল হুদা,শামীম, আসাদুর রহমান, আতিকুল হক ও নুরুল আলম ফকিহ সহ ভাগবাটোয়ারা করে লোপাট করেছেন।
এছাড়াও আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ছাত্র মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রদের বলাৎকারের অভিযোগ থাকলেও তাকে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রাবাসে ব্যক্তিগতভাবে কওমী মাদ্রাসা খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন এই উপাধ্যক্ষ সহ তার সহযোগীরা।
শুধু তাই নয় তার কথা মত না চললে শিক্ষক দের বেতন বন্ধ, অসদাচরণ সহ নানা হয়রানি, ছাত্র/ ছাত্রীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপ, প্রবেশ পত্র বিতরণে বেশী বেশি টাকা নেয়া, মাদ্রাসায় দানকৃত টাকা আত্মসাৎ সহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
আরো জানা গেছে, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মুখলেছুর রহমান ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে বেশ কিছু দিন আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে প্রচার হলে ১ মাসের ছুটি নিয়ে বাড়ীতে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে ড. মুখলেছুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হতে পদত্যাগ করেন।
এরই এক পর্যায়ে গত ২৯/৮/২৪ তারিখে আন্দোলনরত ছাত্র সমাজ ও সাধারণ শিক্ষার্থীগন মাদ্রাসার মাঠে গন জমায়েত হলে তাদের উপর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও তার সহযোগী সহকর্মী গন বহিরাগত লোক দিয়ে হামলা চালিয়ে মারপিট করা সহ আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি- ধামকিরও অভিযোগ রয়েছে।
এ সব বিষয়ে মাদ্রাসার সাবেক ও বর্তমান ছাত্ররা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মুখলেছুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী অভিযোগকারী ও এলাকার সচেতন মহলের।।