রাশিয়া ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর পোলতাভাতে একটি সামরিক ইনস্টিটিউটে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেনা সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন নিহত এবং ২৭১ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এ বছরের যুদ্ধের সবচেয়ে মারাত্মক একক এ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কিছু যুবকদের মৃতদেহ মাটিতে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পড়ে আছে।
পিছনে একটি বড় ভবন হামলার কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ছবিগুলো যাচাই করতে পারেনি।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়া অবশ্যই এই হামলার জন্য দায়ি।’
তিনি দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘হামলায় মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিকেশনের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
’ গতকাল সন্ধ্যার পরে পোস্ট করা রাতের ভিডিওতে জেলেনস্কি মৃতের সংখ্যা ৫১ জন বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ধ্বংস হওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন রয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি আরো বলেন, ‘জীবন বাঁচানোর জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কাও এক্স-এ লিখেছেন, ‘এটি সমগ্র ইউক্রেনের জন্য একটি অত্যাশ্চর্য ট্র্যাজেডি।
শত্রুরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একটি হাসপাতালে আঘাত করেছে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে বলেছে, ‘ইনস্টিটিউটের একটি ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেক লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।’ তারা উদ্ধারকারী এবং চিকিত্সকদের সমন্বিত কাজের জন্য ধন্যবাদ জানায়। এ ছাড়া আরো জানান, ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১১ জনকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা বর্তমানে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে জরুরি পরিষেবা ৫০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। পোলতাভা আঞ্চলিক গভর্নর ফিলিপ প্রোনিন বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১৫ জন থাকতে পারে।
ইউক্রেনের স্থল বাহিনী বলছে, সেনা সদস্যও নিহত হয়েছে। তবে কতজন নিহত হয়েছেন তা উল্লেখ করেনি তারা। আক্রমণটি কিয়েভের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ল্যান্ড ফোর্সেস কমান্ড ফ্যাসিলিটিতে সেনাদের বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে।’
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে শত শত কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এর অর্থ হল, বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠার পর সবাই বাঁচার জন্য অনেক কম সময় পেয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে। তবে রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র : আলজাজিরা