1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন

ঢাকায় বরিশালের বিসিসির ১৬ কাউন্সিলরদের নিয়ে বিসিসি নির্বাহী কর্মকর্তার ভুড়িভোজ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান : বরিশালের ১৬ কান্সিলর নিয়ে ঢাকায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসরাইল হোসেনের গোপন বৈঠক ও ভুড়িভোজ । বরিশালে তোলপাড় সৃষ্টি।জামিন হয়নি বিএনপি অফিসে হামলায় জড়িত ১৬ কাউন্সিলরের কারো।

সুত্র জানায়,বরিশাল সিটি করপোরেশনের ঢাকার তোপখানাস্থ রেষ্ট হাউজে গত রোববার ও সোমবার এ দু’দিন ধারাবাহিকভাবে গোপন বৈঠক করেন। এ বৈঠকে মোঃ ইসরাইল হোসেন সিটি করপোরেশনের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাথে জড়িতদের পুর্নবাসন,পলাতক কাউন্সিলরদের নিয়মিত সম্মানী ও অন্যান্য ভাতা প্রদানের বিষয়ে রাজি হন তিনি।এছাড়া সাবেক মেয়র সাদিকের সময়ে দাপুটে কর্তা দিপক লাল,মোয়াজ্জেম,স্বপন,রাসেলসহ সকলকে স্ব স্ব পদে বহাল করার অভিযোগ উঠেছে ইসরাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। অন্যদেরকে স্বপদে বহালের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তা।নগরীতে ট্যাক্স ও করবৃদ্ধি সহ সাদিক ও খোকনের সকল অপকর্মের মুল হোতা এই ইসরায়েল বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভুগীরা।
এছাড়া ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যান লঞ্চে ভাতা নেন বিমানের এমন অভিযোগ অসংখ্য।

সুত্র জানায়,সব অফিসে সংস্কারের হাওয়া বইলেও বিসিসিতে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের দোষরদের রহস্যজনক তৎপরতা চলছে।এখানে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন সাধারন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

কে এই ইসরায়েল : ম্যাজিষ্ট্রেট থেকে সচিব, সচিব থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরবর্তীতে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মোঃ ইসরাইল হোসেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘবছর ঘুরে ফিরে তার একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন বিসিসি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সিটি করপোরেশনের কৌতুহলি অসংখ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলে বলছেন, অনেক মধু রয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনে। যেকারণে দীর্ঘবছর পর্যন্ত ঘুরে ফিরে একই সিটি করপোরেশনে থাকছেন বর্তমানে নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ইসরাইল হোসেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ অবৈধপন্থায় চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা নিয়োগ, সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর কাছ থেকে গাড়ি ক্রয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে গ্রহণ এবং সদ্য সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের কাছ থেকে পুরস্কার স্বরূপ টাকা নিয়ে ফ্লাট ক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালে শওকত হোসেন হিরন মেয়র থাকাকালীন সময় সিটি করপোরেশনের ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে ইসরাইল হোসেন যোগদান করেন। এরপর থেকেই নানা কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন। মাঝখানে কয়েক বছর অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও আবার ঘুরে ফিরে চলে আসেন বরিশাল সিটি করপোরেশনে। ২০১৮ সালে তিনি (ইসরাইল) বরিশাল সিটি করপোরেশনের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। একই বছরের ৯ আগস্ট থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে অদ্যবর্ধি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ইসরাইল হোসেন দায়িত্ব পালন করছেন।

সূত্রমতে, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক মেয়রদের মন জয় করে দীর্ঘ ১৩ বছর বহাল তবিয়তে বরিশাল সিটি করপোরেশনে দায়িত্ব পালন করা ইসরাইল হোসেনকে নিয়ে জনমনে নানা কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন সাংবাদিক কে জানান মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর কাছ থেকে উপহার হিসেবে গাড়ি ক্রয়ের জন্য টাকা এবং খোকন সেরনিয়াবাতের কাছ থেকে পুরস্কার হিসেবে ফ্লাট ক্রয়ের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে ইসরাইল হোসেন বলেন, ২০১৮ সালে ১৯ জন শেয়ার মিলে নগরীর ব্যাপ্টিস মিশন রোডে জমি ক্রয় করেছি। সেখানে ফ্লাট নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে।

ঘুরে ফিরে একই সিটি করপোরেশনে থাকা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমার স্ত্রী বরিশালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত থাকায় আমিও বরিশালে কর্মরত রয়েছি। তবে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে অন্যত্র বদলী হওয়ার জন্য তদ্বির করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি