বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ফারহান ফাইয়াজ হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফারহানের বাবা শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন– ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমারসহ ৩৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে এ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই ধানমন্ডিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেলে কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ। সে সময় সন্তান খুনের বিচার দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তার মা নাজিয়া খান।
সন্তানের মৃত্যুর খবর জানিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে ফায়াজের মা নাজিয়া খান লিখেছিলেন, ‘দিস ইজ মাই ফারহান ফাইয়াজ। হি ইজ ডেড নাও। আই ওয়ান্ট জাস্টিস (এই আমার ফারহান আইয়াজ। সে এখন মৃত। আমি ন্যায়বিচার চাই)।’
ওই দিনই আরেক পোস্টে নাজিয়া লিখেছিলেন, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তার বয়স এখনও ১৮ বছরও হয়নি। সে ২০০৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্ম নিয়েছে। আমি চাই আপনারা সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী আওয়াজ তুলুন। আমি এর বিচার চাই।
ফারহান ফায়াজের পুরো নাম মো. ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া। তার বয়স ছিল ১৮ বছরেরও কম। উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।