বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়: বরিশাল নগরীতে নয়া কৌশলে মাঠে নেমেছে ইভটিজার সাফা। নিজ ফেইসবুকে “বিএনপি কে চোরের দল” “পা চাটা দল”কটাক্ষ করে এবং তারেক রহমানকে উল্লেখ করে বলে” তারেক জিয়া লন্ডনে তোরা দেশে চাস কি” পোস্ট দেয় সাফা। ৫ আগস্টের পরে গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে রয়েছে বহাল তবিয়তে। সাফা নগরীর ১৪নংওয়ার্ডের বুক ভিলা গলির বাসিন্দা ফারুক আহমেদ ও শিরিন আক্তারের পুত্র।নিজেকে মেয়েদের ক্রাস পরিচয় দিয়ে এবং রং বেরং এর পোষাক পরে টিকটক এর নামে মেয়ে পটানোই সাফার প্রধান কাজ।একে একে দুইটি বিয়ে করেও নারীলিপ্সুক সাফা ক্ষান্ত না হওয়ায় তার স্ত্রীরা তাকে ছেড়ে চলে যায়।সাফার পুরো নাম মোঃ সাফায়ত হোসেন সাফা।সে নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নগর দাপিয়ে বেড়াত।একসময় সাদেক অনুসারী ছাত্রলীগের নেতা আরিফুর রহমান সাকিলের ক্যাডার হিসেবে নগরীর চাদমারী বটতলা চৌমাথা বাংলাবাজার এলাকায় চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করত।এসময় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগাত রোগীর মহিলা স্বজনেকে উত্ত্যক্ত করায় তারা স্থানীয়দের সহায়তায় সাফাকে পিটিয়ে হাসপাতালের পুকুরে ফেলে দেয় পরে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষা করে সাফা।পরবর্তীতে খোলস পাল্টে খোকন সেরনিয়াবাত এর দলে অসিম দেওয়ানের নেতৃত্বে কাজ করে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর প্রত্যক্ষ ভাবে ছাত্রলীগের পরিচয় হামলায় অংশ নেয় সাফা।এছাড়াও মেয়েদের ফেইসবুক আইডিতে ঢুকে নিজেকে ধনকুবের কখনও নিজেকে প্রভাবশালী দাবী করে লেখালেখি করতো। তার এহেন আচরন হতে মেয়েদের মা খালারাও বাদ যেতনা সাফার অত্যাচার হতে।নগরীর অনেক মেয়েরা সাফার ভয়ে বাসা হতে বের হয় না। লোকলজ্জার ভয়ে এনিয়ে প্রশাসনকেও জানায়নি অনেকে। ছদ্মনাম (ময়না)জানান “আমাকে বাসা হতে বেরহতে দিতোনা সাফা। মা বা ভাইকে নিয়ে বেরহলে সাফা পথে উত্ত্যক্ত করত। তার কথা না শুনলে অশ্লীল কথাবার্তা বাজে এসএমএস ও দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।সে বলে থানা পুলিশ কোন বেপার না।” এভাবে নগরীতে অনেক মা বোন ভাবী আছেন যারা সাফার ডিজিটাল হয়রানীর শিকার।নগরীর অভিজাত রেস্তোরাঁয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেতো। কোন প্রতিস্ঠান কর্তৃপক্ষ পাওনা টাকা দাবী করলে তাকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয় সাফা।