1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

জীবন যুদ্ধে জয়ী সালমা খাতুন কি অর্থের অভাবে পরাজয় বরণ করবেন?

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

মুজাহিদ শেখ, শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি: শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্তেও শক্ত মনোবলের সালমা খাতুনের মুখের মলিন হাঁসি দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি শারীরিক ভাবে খু্বই অসুস্থ্য।

স্থানীয় বাজারে মুদি দোকান দিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধীত্ব জয়ী করে প্রায় ১৫ বছর ধরে বৃদ্ধ মা বাবাসহ তিন জনের সংসারের সাহায্য করেন সালমা।

হুইল চেয়ারে করে সালমার মা তাকে বাজারে তার দোকানে দিয়ে আসলেও এখন তার অসুস্থতার কারণে সালমার বাবাই থাকে বাজারে দোকানে দিয়ে আসেন এবং রাতে নিয়ে আসেন।

সালমা খাতুন জানান, তার নিজের চিকিৎসা ছাড়াও আছে অসুস্থ্য মায়ের চিকিৎসা খরচ, যা তার এই ছোট্ মুদি দোকানের স্বল্প আয় থেকে করা সম্ভব না।
সরকারের দেওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া অন্য কোন সহায়তা তিনি পাননি।
সালমা খাতুন আরো জানান, ভাতাটাও কয়েক মাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।

সালমা খাতুন শ্রীপুর উপজেলার ২নং আমলসার ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন দরিদ্র কৃষক সোহবার হোসেন ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে।

নতুন করে প্রতিবন্ধী সালমা খাতুন প্রায় দেড় বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন। ডাক্তার অপারেশনের কথা বললেও টাকার কারণে সেটাও করতে পারছেন না তিনি ও তার দরিদ্র রিবার। এজন্য কয়েকবার কিডনি রোগের সরকারি অনুদানের চেষ্টা করেও হয়েছেন ব্যর্থ।

দুই ভাই বোনের মধ্যে সালমা ছোট্। ছোট্ সালমার বয়স তখন মাত্র সাড়ে তিন বছর। আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগে হঠাৎ একদিন তার জীবনে নেমে আসে কালো মেঘের ছাঁয়া। সালমা আক্রান্ত হন জ্বরে। তার বাবা সোহরাব হোসেন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দিলেও কয়েকদিন পরে সালমার বাবা মা দেখতে পান তাদের মেয়ের কোমড়ের নিচ থেকে দুই পা পর্যন্ত ও একটি হাত বাঁকা হয়ে গিয়েছে।

তারপর থেকে চিকিৎসাতেও ভালো হয়নি তাদের এক মাত্র আদরের মেয়ে। সেই থেকেই সালমার জীবন যুদ্ধ শুরু।

দরিদ্র কৃষক পিতার প্রতিবন্ধী মেয়ে সালমা ছোট থেকেই মানষিক ভাবে শক্ত মনোবলেন ছিলেন। সে শারীরিক প্রতিবন্ধীত্বকে জয় করতে ভর্তি হন স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে। প্রাইমারি শেষ করে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণী পর্যন্ত আসার পরে আর্থিক সংকটের কারণে এসএসসি পরিক্ষা দেওয়া হয়নি তার।

সোহরাব হোসেন জানান, তার মেয়ে সালমা নতুন করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হবার পর থেকে প্রায়ই অসুস্থ্য থাকে।
যার কারণে ঠিকমত দোকানও খোলা সম্ভব হয়না তার। এতে করে সালমা ও তার মায়ের চিকিৎসারও সমস্যা হচ্ছে বলেন জানান তিনি।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সালমা খাতুনকে সরকারের পক্ষ থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

তিনি আরো জানান, সালমা খাতুন কিডনি রোগের অনুদানের জন্য নিয়ম নেমে আবেদন করলে বিষয়টি দেখা হবে।তাহলে কি জীবন যুদ্ধে জয়ী সালমা খাতুন অর্থের কারণে চিকিৎসার অভাবে পরাজিত হবেন?

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি