শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ মুন্না: বন্দরে চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যার প্ররোচনা ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী আক্তার হোসেন (৪৮)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এক্যশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-১১।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বন্দরের মুছাপুর হরিবাড়ী এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করাহয়। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন একই এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও এজাহার পর্যালোচনায় জানতে পেরেছি নিহত ভিকটিম সিরাজুল ইসলাম (৬৫) বিবাদী আক্তার হোসেন (৪৮) এর অটো রিক্সার গ্যারেজে নাইট গার্ডের চাকুরি করত। গত ২০ তারিখ আক্তার হোসেনের অটো রিক্সার গ্যারেজ থেকে ৬ টি অটো রিক্সা চুরি হয়। তখন ভিকটিম অটো রিক্সা গ্যারেজে ডিউটিরত ছিলো।
আক্তার হোসেন ভিকটিমকে অটো রিক্সা চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে পরবর্তী দিন ১৯ অক্টোবর মুছাপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমের বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দরবার শালিসী বসান। শালিসের এক পর্যায়ে ভিকটিমকে চুরির অপবাদে সকলের সামনে খারাপ আচরণ,অপমান অপদস্তসহ অপমান জনক ও প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলে মানষিক ভাবে নির্যাতন করে।
উক্ত শালিসীতে সমস্যার কোন সমাধান না হওয়ায় আক্তার হোসেন ভিকটিম সিরাজুল ইসলামকে তার অটো রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে যান। ঐ দিন রাত ১.৩০ থেকে ২.৩০ পর্যন্ত যে কোন সময় রিক্সা গ্যারেজের গেইটের লোহার এ্যাংগেলের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ভিকটিম সিরাজুল ইসলাম আত্মহত্যা করেন।
র্যাব আরও জানায়, পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিমের মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্ত করার জন্য মর্গে পাঠায় এবং ময়না তদন্ত শেষে দাফন কাফনের জন্য ভিকটিমের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।
ভিকটিমের পরিবারের ধারণা ভিকটিম বিবাদীদের অপমানজনক ও প্ররোচনা
মূলক কথাবার্তা সহ্য করতে না পেরে এবং বিবাদীদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করেন।পরবর্তীতে নিহত ভিকটিমের মেয়ে শিল্পী ২১ অক্টোবর বন্দর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে বন্দর থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।