মোঃ নাজিম উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বনের জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ। এ উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করছেন আইনশৃঙ্খলা, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কালিয়াকৈর উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর পৌরসভাধীন ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব চান্দরা পাশা গার্মেন্টসের পশ্চিমপাশে এ অভিযান শুরু করেন বন বিভাগ।
বন বিভাগ জানায়, গত (৫ আগস্ট) হাসিনা সরকার পতনের পরপরই কালিয়াকৈর রেঞ্জের চন্দ্রা বিটের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গাছপালা কেটে সরকারি বনের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব শুরু হয়। সেসময় বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এসব স্থাপনা বন্ধে বাধা দিলেও স্থানীয় ভূমিদস্যু ও অসাধু মহল তা আমলে নেননি। পরবর্তীতে এ ঘটনা নিয়ে বন মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে জেলা প্রশাসক বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি সম্পদ রক্ষায় যৌথ অভিযানের পরিকল্পনা করেন
কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম জানায়, উপজেলার পাশা গেইট এলাকায় কতিপয় লোকজন বন বিভাগের প্রায় ৬ একর জমি জবর দখল করে নেয়। বন বিভাগের জবর দখল হওয়া জমি যারা দখল করেছে তাদেরকে জবর দখলকৃত জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য (১৮ অক্টোবর) সারা দিন মাইকিং করে তাগাদা দেওয়া হলেও তারা বনের জমি ছেড়ে না দেওয়ায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগেও বনবিভাগের কর্মকর্তারা একাধিকবার এসব এলাকায় বনবিভাগের জমিতে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করেন। এছাড়াও এসব দখলে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বন বিভাগ।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, আজ বনবিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। বনবিভাগের জমি দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত (৫ আগস্ট) সরকার পতনের পর গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর রেঞ্জ ও কাচিঘাটা রেঞ্জের আওতাধীন বনবিভাগের জমিতে বেশিরভাগ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়। এতে অসাধু চক্র মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানা যায়। বন বিভাগের তৈরি তালিকা মতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর রেঞ্জে দুই হাজারেরও বেশি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।