ভোলা প্রতিনিধি: দির্ঘ কয়েক বছরের আধিপত্যতার জেরে আবাও বানিয়ার চরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ইতি পুর্বে খুন ধর্ষন সহ ভিবিন্ন প্রকারের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে এই চরে।
ভোলা সদর উপজেলার বানিয়ার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে এক পক্ষের অন্তত ৬ জন আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রাজাপুর ও পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বানিয়ারচর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় দির্ঘ কয়েক বছর ধরে এ চরে দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রাণ হানী সহ বহু সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
গতকাল ২২ অক্টোবর দুপুর ৩ টা থেকেই চরটিতে দখলের মহড়া দিয়ে আসছিলের আবু তাহের উকিল গ্রুপের হাদিসুর রহমান বনার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। হাদিসুর রহমান বনার লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল, ঢাল, সুরকি নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। তবে হাদিসুর রহমান জানান আমাদের লোকজন মহড়ায় নামেনি আমাদের লোকজন সহ পানচাষিদের সাথে স্থানীয় দারোগা খাল বাজারে বসে একটি সমজোতা হয়।
পরে আজ সকাল ১১টার দিকে রফিকমাল গ্রুপ আমাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আমার পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়। তবে এ ঘটনায় কোন বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তারা আমাদের স্বর্ন অলংকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান হাদিসুর রহমান।
এদিকে আবু তাহের উকিল গ্রুপের হাদিসুর রহমান বনা আরো জানান আমাদের চরে একটি চাঁদাবাজ গ্রুপ আছে। ঐ গ্রুপের সদস্য আবুল বসার ও রফিক মাল আজ চরে চাঁদা তুলতে গেলে আমাদের লোকজন প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের লোকজনের অন্তত ৬ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে, এতে সেলিম সহ তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্ত্তব্যরত ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এদিকে রাজাপুর গ্রুপের রফিক মাল জানান আমি গতকাল বিকেলে রামদাসপুর এসেছি, বানিয়ার চরে সংঘটিত সংঘর্ষের বিষয়টি আমি মাত্র আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি। আমাদের কেউ আহত হবে কিভাবে আমরা আজ চরে যাই নি।
আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হলেও এখনো পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বলে জানান স্থানীয়রা। থমথমে বিরাজ করছে পুরো বানিয়ার চর এলাকা।
ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসনাইন পারভেজ জানান এ পর্যন্ত ৬ জন আহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তাদের দুজন কে প্রথমে বরিশাল শেবাচিমে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক, পরে আরো একজনে বরিশালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি আহতদের চিকিৎসার পরে পক্ষদ্বয় মামলা দায়ের করতে পারেন। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, দোষীদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তিনি আরো জানান এলাকাটি অত্যন্ত দূর্ঘম এলাকা প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে যেতে হয় সেক্ষেত্রে একটু সময় লাগে। পুলিশ ঐ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে টহল টিম স্বচল রেখেছে।