ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডে চাঁদা আদায়ের চেষ্টায় চাঁদা না পেয়ে আক্তার হোসেন (৪০) ও তার ছেলে তানজিল (১৭) কে পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন (৩৮) (পিতা : সিদ্দিক ফরাজি, ৮ নং ওয়ার্ড, ১৩ নং দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন,ভোলা সদর, ভোলা) সহ তার গ্যাং এর অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় ভোলা দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত আক্তার হোসেন ও তার ছেলে তানজিল বর্তমানে ভোলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ভুক্তভোগী আক্তার জানান, ঘটনার দিন দক্ষিণ দিঘলদী পাতা বুনিয়া ১ ২ ৩ নং ওয়ার্ডে তিনি তার একটা রাখি জমি দেখার উদ্দেশ্য গেলে সেখান থেকে সন্ত্রাসী জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বাবলু মাতব্বর, বজলু, নাজমুল জাহিদ সহ অগ্যত ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী মিলে তাকে এবং তার ছেলে তানজিলকে ধরে দক্ষিণ দিঘলদী বাজার খোলা নিয়ে আসে। সেখানে দড়ি দিয়ে বেধে তাদের কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে সন্ত্রাসী জাকির তার দলবল নিয়ে রড, লাঠি দিয়ে তাকে ও তার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর এই অবস্থায় তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কাজির রোড দক্ষিণ জয়নগর এলাকায়। সেখানে তাদের সামনে অস্ত্র রেখে ছবি, ভিডিও করে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ধরিয়ে দেবার কথা বলে মারধরের বিরুদ্ধে মামলা না করার জন্য ভয় দেখান। এসময় তাদের মার ধরের বিষয়টি তার পরিবার জানতে পারলে সন্ত্রাসীরা তাদের নিয়ে দক্ষিণ দিঘলদী গাড়ি ঘাট পৌঁছান। সেখানে থেকে তার স্ত্রী ও মা তাদের আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
অভিযোগ কালে তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেন। আক্তার হোসেনের ছেলে তানজিল বলেন, আমাদের মারধরের এক পর্যায়ে আমার বাবা ১৫ দিন সময় চেয়ে টাকা দেবার কথা বললেও রাজি হয়নি উল্টো আমাদের সামনে অস্ত্র রেখে আমাদের চালান দেয়ার ভয় দেখায়। যাতে আমরা এখান থেকে বের হয়ে কারো সাহায্য নিতে না পারি। আমরা এই হামলার সুষ্ঠ বিচার চাই।
আক্তার হোসেনের স্ত্রী বলেন, তার প্রতিবেশী একজনের কাছ থেকে তার স্বামী সন্তানের মারধরের বিষয়টি অবগত হয়ে তিনি জাকির হোসেন (পিতা সিদ্দিক ফরাজি,৮নং ওয়ার্ড) এর বাড়ি ছুটে যান সেখানে না পেয়ে অন্যান্য লোকের সহায়তায় তার শাশুড়ী সহ গাড়ি ঘাট গিয়ে দেখেন আহত অবস্থায় পরে রয়েছে আক্তার হোসেন। এসময়ে তাদের সবার কাছ থেকে সাদা স্টাম্পে সই রেখে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেন। এরপর তিনি আহত স্বামী সন্তানকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানান। অন্যদিকে এই ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত জাকিরসহ অন্যদের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করার পরেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনো কোন আইনের সহায়তায় নেয়া হয়নি, তবে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।