1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

নিকলীতে ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ণ ভবন স্থানীয়দের চলাচলে ভয়ের কারন

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪

মো. আল আমিন, জেলা প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের নিকলীতে একটি ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ণ, অকেজো ও পুরাতন ভবন স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের পথে রীতিমতো আতঙ্কের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।

আর এটি উপজেলার জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন বলে নিশ্চিত করেন এলাকাবাসী। এছাড়া এখানে আরো বেশ কয়েকটি মেয়াদোত্তীর্ণ ভবন রয়েছে। এই ভবনগুলো সংলগ্ন স্থানেই নিয়মিত বসে গ্রাম্য একটি হাট। জেলার অন্যতম একটি গরুর হাটও বসে এই এলাকায়। মেয়াদোত্তীর্ণ ভবনে নেই বর্তমান পরিষদের কার্যক্রম। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ঘেসেই নিজস্ব নতুন ভবনে চলে পরিষদের নিয়মিত কার্যক্রম।

মেয়াদোত্তীর্ণ ভবনগুলো না থাকলে গ্রাম্য হাট ও গরুর বাজারের প্রশস্ততার জন্য বেশ সুবিধা হতো বলে জানান স্থানীয়রা। তাছাড়া গরুর হাটটি বসানোর জায়গা নিয়েও রয়েছে পরিবেশকেন্দ্রিক বিতর্ক। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় সপ্তাহে একদিন বুধবার গরুর হাটের দিন বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। এটিও নিরসন হতো যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ভবনগুলো সরিয়ে জায়গাটি খালি করে দেওয়া হতো এমনটিও বলছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় গুপিরায় নামক বাজারের উন্নতি ও জননিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করে অতিসত্তর পুরাতন ভবনগুলো অপসারণের দাবি তোলেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, গুপিরায় বাজারের গরু হাটটি ইজারায় উল্লেখিত নিজস্ব জায়গায় বসছে না। স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ লাগোয়া বেসরকারী মালিকানার জায়গা ও সরকারি চলাচলের রাস্তার উপর গ্যাদারিং করে বসানো হয় গুরুর হাটটি। এই হাটের আয়ের উপর নির্ভর করেই চলে ১৩ সমাজের সকল মসজিদ, মাদ্রাসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ খরচ।

এই পুরাতন ভবনগুলো ভেঙ্গে গরুর হাট বসানোর জায়গার পরিধি বিস্তৃত করার দাবি স্থানীয়দের। এখানকার সরকারি ইজারাযোগ্য জায়গা বাজারের নামে ইজারার ব্যবস্থা করে দিলে একদিকে গরু হাটের সরকারি ইজারা মূল্য বেড়ে যাবে অপরদিকে এলাকাবাসীরও চলাচলের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনটিতে অনেকাংশে ফাটল রয়েছে। ভবনের ছাদ, ভিম ও প্লান্টার নষ্ট হয়ে মেঝেতে পড়ে আছে।

নোংরা, অপরিস্কার ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে ভিতরের পরিবেশ। এর পাশ দিয়ে চলাচল করতে মানুষ ভয় পেয়ে থাকে। শীতকালে প্রচন্ড দুর্গন্ধ থাকে এখানে।

স্থানীয় গরুর হাটের ক্যাশিয়ার প্রবীর কুমার দাস সংবাদকর্মীদের জানান, তার বাবা ভুপেন্দ্র দাসও ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মেম্বারদের ভোটে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এই ভবনে বসতেন। এর আরও অনেক আগেই তৈরি করা হয়েছিলো এই ভবনটি।
জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইসহাক রানা এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের জানান , উন্নয়নের লক্ষ্যে পুরাতন বাজারটির দিকে সুষ্ঠু তদরকির পাশাপাশি অকেজো ভবনটির বিষয়ে প্রশাসন নজর দিলে স্থানীয়দের উপকার হবে, সরকার অধিক পরিমাণে ইজারা পাবে এ হাট থেকে।

জেলাপ্রশাসক ফৌজিয়া খানকে সংবাদকর্মীরা এ বিষয়টি জানায়। জবাবে তিনি বলেন, দুই মাস হয়েছে এখানে আসলেও স্থানীয়দের কেউ বিষয়টি জানায়নি তাকে। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান সংবাদকর্মীদের।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি