খুলনা জেলার কয়রা থানার অন্তর্গত শেওড়া গ্রামে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামীকে মেরে গুরুত্বর আহত করায় সম্মেলন করেছে সুমি সুরতানা। মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় নিজস্ব বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন আমার স্বামী আসমত আলী ভাড়ায় মোটর বাইক চালানোর কারনে প্রায় সময় বাড়ীর বাহিরে থাকায় জনৈক আঃ জলিল হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বাজে ইঙ্গিত ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকিলে এবং আমি প্রত্যাখ্যান করিয়া আমার স্বামিকে জানাতে চাহিলে জলিল আমার স্বামীসহ আমার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিতো এবং বলতো আমি আওয়ামী যুবলীগ নেতা, আমার কথা না শুনলে তোর পরিবারকে মেরে ফেলব, এরপরও জলিল আমাকে কু প্রস্তাব দিলে আমি আমার স্বামীকে জানালে আমার স্বামী জলিলের পিতামাতাকে বিষয়টি জানালে তারা বলে আমার ছেলেরা আমাদের কথা শোনেনা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন পরিবারকে জানানোর সেই সুত্র ধরিয়া ইং ১৮/১১/২০২৪ তারিখ সকাল আনুমান ৭/৭.৩০ ঘটিকায় আমার স্বামী হোগলা বাজার থেকে ভাড়া নামিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শেওড়া খেয়াঘাটে পৌঁছালে জলিলসহ তাহার দুই ভাই জিল্লু ও আল মামুন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ধারালো দা, লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি লইয়া আমার স্বামীর পথরোধ করে জলিল ও মামুন আসামী আমার স্বামির গলায় থাকা মাফলার লইয়া আমার স্বামীর গলায় পেচ দিয়া হত্যা চেষ্টা এবং জলিল ধারালো দা দিয়া আমার স্বামীর মাথায় মাঝ বরাবর কোপ মারিয়া এবং জিল্লু লোহার রড দিয়া আমার স্বামীর মাথার পিছনে আঘাত করিয়া গুরুত্বর মারাত্মক জখম করে। মামুন দম বন্ধ করে মেরে ফেলার জন্য গলার ওপর পা দিয়ে চাপিয়া ধরে রাখে এবং জলিল আমার স্বামীর বুক পকেটে থাকা ৪,৫০০/- টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়। স্থানীয় লোকজন ও আমার স্বামীর বাড়ীর লোকজন আমার স্বামীকে উদ্ধার করে জায়গীরমহল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কয়রাতে ভর্তি করান, পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্বামীর অবস্থার অবনতি হইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।