আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়কের কমরউদ্দিন বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
ফিলিং স্টেশনটি স্থাপনের শুরু থেকেই এলাকাবাসীর চরম আপত্তি থাকলেও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চরফ্যাশন উপজেলার পশ্চিম এওয়াজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরে আলম শিকদার।
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ হাই লালু অভিযোগ করে জানান, উত্তর দিঘলদী মৌজার এস এ ১৩৯,২০৪ ও ৫৭৯ নং খতিয়ানের কমন ২৯৯০ দাগের মধ্যে আমার সম্পত্তি রয়েছে। ওই জমির মধ্য থেকে অংশবিশেষ জমি ভাড়া চুক্তি নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার পশ্চিম এওয়াজপুরের আওয়ামীলীগ নেতা নুরে আলম শিকদার নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই ওই জায়গায় গ্যাস ফিলিং স্টেশন স্থাপনের কাজ চালু করেন। একদিকে আমার সম্পত্তি জবর দখল, অন্যদিকে ওই জায়গার মধ্য দিয়ে উউচ্চচাপ যুক্ত এগারো হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি বিদ্ধমান রয়েছে। আবার একই স্থানের পাশেই রয়েছে গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্ক টাওয়ার। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এলাকাবাসী ওই জায়গা থেকে ফিলিং স্টেশনটি সরিয়ে অন্য যে কোন জায়গায় নির্মাণ করার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবর গত ০৩/১২/০২৩ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পরবর্তীতে কাজ বন্ধের জন্য শত শত জনগণ মানববন্ধনও করেছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি।
উপায়ন্তর না পেয়ে আাদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলা নং দেওয়ানি ২৫১/২৪। তিনি জানান,আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিরোধীয় ভুমিতে সরেজমিন লোকাল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আইনজীবী বাবলু হাসানকে। দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী ১৬/৯/২৪ ইং তারিখে সরেজমিনে উভয়পক্ষ ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে পরিদর্শন কাজ সম্পন্ন করেন। ততদন্তকারী আইনজীবীর প্রতিবেদনে বিরোধীয় ভুমিতে বে-আইনি অনুপ্রবেশ করে অটোগ্যাস স্টেশন নির্মাণ এবং ওই ভুমির উপর দিয়ে ১১ হাজার কেবি উচ্চচাপ সম্পন্ন বৈদ্যুতিক তারের সঞ্চালন লাইন আছে মর্মে ২৫/৯/২৪ ইং তারিখে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদন ও সার্বিক বিবেচনায় আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন।
কিন্তু আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়মিত কাজ চালিয়ে ফিলিং স্টেশনটি নির্মাণ করে ফেলেন।
এদিকে অনিয়ম ভাবে গ্যাস ফিলিং স্টেশন নির্মাণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিনিধি দল ওই গ্যাস ফিলিং স্টেশনটি পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ফিলিং স্টেশনটির স্বত্বাধিকারী নুরে আলম শিকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নিয়ম মেনে আমি ফিলিং স্টেশন এর কাজ করছি। নির্মাণ কাজে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি এড়িয়ে যান।