সবাই যখন অনলাইনে আসক্ত, ঠিক তখনই কিছু অদম্য তরুণ লিপ্ত বই পড়া নিয়ে।দলবদ্ধ হয়ে প্রতি শুক্রবার বিকাল বেলায় জড়ো হয় একসাথে।শুনশান নীরবতা,নিরিবিলি পরিবেশে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বই নিয়ে।নিজের সাহিত্য কে বিকশিত করতে বই নিয়ে আলোচনায় হারিয়ে যায় কবি,লেখক,কথাসাহিত্যিকদের বেশে।এরই প্রেক্ষিতে নোয়াখালী তে আয়োজিত হয় বাংলাদেশ রিডস এর প্রতি শুক্রবার এর আয়োজন ❝নীরবে বই পড়া অভ্যাস❞ কার্যক্রম।এতে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বাংলাদেশ রিডস টিমের সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, ফাতেমা সোলতানা,রাশেদা আক্তার,নুসরাত জাহান নিশি,মোজাম্মেল হোসেন,মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নিশাত,ইয়াসমিন,জান্নাতুল পলি এবং বাংলাদেশ রিডস চট্টগ্রাম থেকে পরিদর্শনে আসেন মুহিবুল হাসান রাফি।তিনি কার্যক্রমের প্রতিটি অংশ অতি সূক্ষ্ণভাবে পরিদর্শন করেন।তিনি তাঁর বক্তব্যে কিছু দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন।❝নীরবে বই পড়া শেষে কুইজের আয়োজনে ১ম তিনজন-কে পুরষ্কৃত করা হয় এবং বাকিদের সান্ত্বনা পুরষ্কার দেওয়া হয়।এরপর বাংলাদেশ রিডস এর নোয়াখালী সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন,❝নোয়াখালী টিম কে পরিপূর্ণরূপে গঠন করতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।নারীদের নিরাপত্তা বিষয়ে কঠোর হয়েছি।বাংলাদেশ রিডস কী ও কেন তা সকলের মাঝে পৌঁছাতে কাজ করে যাচ্ছি। নারীরা যাতে কোনো কটূক্তি কিংবা ট্রমা এর শিকার না হয় সে বিষয়ে কেন্দ্রের আদেশ অনুযায়ী নজরদারি করছি।কার্যক্রমে যাঁরা আসছে কিংবা আসতেছে তাঁদেরকে বই পড়ার উৎসাহিত করা হচ্ছে।ট্রমা আর কটূক্তির শিকার হতে হচ্ছে মূলত অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে।অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নিজের বই না থাকয় বইয়ের সংকটে রয়েছে।তবে খুব শীঘ্রই সব ঝঞ্ঝা কাটিয়ে ওঠবে❞।এরপর সকলে মিলে চায়ের আড্ডায় বিভোর হয় পরক্ষণে সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে পাড়ি জমাই।