তবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে সরকারের ত্রাণ, পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে বলে অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন জানান।
মৃত ও আহতদের পাশাপাশি আরও চারশ জনকে মঙ্গলবার পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, আগুনে প্রায় ১০ হাজার ঘর পুড়ে গেছে এবং আশ্রয় হারিয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।
আগুনে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু ও ৫৬০ জন আহত হয়েছেন জানিয়ে ইউএনএইচসিআর বলছে, হতাহত ও আশ্রয়হীনদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে
ক্লাউভ বলেন, আশ্রয়হীনরা সাময়িকভাবে ক্যাম্পের অন্যান্য ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের সহায়তায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি বলেন, “২০২১ সালে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য মোট ২৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের বাজেটের মধ্যে মাত্র ১৬ ভাগ এসেছে।“
“সোমবারের মারণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক আগুন পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে এবং ইতোমধ্যে সঙ্কুচিত অর্থে টান পড়েছে।”