নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিনজনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- মামলার এজহারভুক্ত আসামি মাহবুবুর রহমান রনি, সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও আইনুদ্দিন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে শুনানিকালে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) খোকন কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিসহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার সাতজনের মধ্যে ছয়জনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে পেল পুলিশ। এর আগে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিন আসামিকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের সামনে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দু’জন।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত গৃহবধূর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতারদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও পাঁচ নম্বর আসামি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউল হাসানকে সোমবার আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।