চিঠিতে দেশটির জনগণকে পাকিস্তান দিবসের শুভেচ্ছাসহ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ইচ্ছা পোষণ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ইমরান খানকে লেখা চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলামাবাদসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও গভীর ও বৈচিত্যময় হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
চিঠিতে শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষে এবং আমার পক্ষ থেকে, আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে, পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে পাকিস্তান সরকার ও জনগণকে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের জনগণ তখনই উপকৃত হবে যখন উন্নয়ন ও শান্তিতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তাদের যাত্রা সমুন্নত রাখবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইমরান খানের কাছে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক চায় ভারত। কিন্তু সে জন্য ভীতি ও বৈরিতাশূন্য একটা আস্থার পরিবেশ অপরিহার্য। মোদি বলেন, প্রতিবেশী হিসেবে পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক চায় ভারত। আর সে জন্য আস্থা ও ভীতিশূন্য পরিবেশ দরকার। করোনাভাইরাস মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাকিস্তানের জনগণ ও ইমরান খানের সফলতা কামনা করেছেন মোদি।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সুসম্পর্কের আভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে মোদির এই চিঠিকে। গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সোমবার পার্মান্যান্ট ইন্দুস কমিশন নিয়ে আলোচনা করতে ভারত সফরে গিয়েছেন পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল। গেল আড়াই বছরের মধ্যে দুদেশের মধ্যে এটিই প্রথম কোনো বৈঠক।
২০১৯ সালে একদফা আকাশযুদ্ধের পর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এই সংঘাত হয়েছিল।