প্রথমত মতুয়া ভোটকে বিজেপির দিকে টানতে পারবেন । দ্বিতীয়ত যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের প্রার্থনা, যা তার প্রত্যেক সফরের একটি ধর্মীয় অনুসঙ্গ, ২০১৫ সালের সফরের সময়ও তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়েছেন ও রামকৃষ্ণ আশ্রমে গিয়েছেন।
এটাই কামনাসাগর। গুরুচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাবতিথিতে ওড়াকন্দির পুকুরে স্নান করলে পুণ্যলাভ। সেখানে হরির লুট। বাতাসা ছুড়ে দিলে লোকেরা কাড়াকাড়ি করে লুফে নেয়। মাইকে ভেসে আসছে কীর্তন, ‘মতুয়ারা দলে দলে ওড়াকান্দি যায়।’
মতুয়ারা এক ধরনের ‘বৈষ্ণব’। বাংলার নিজস্ব ধারার বৈষ্ণব। শ্রীচৈতন্য, গ্রামবাংলার অন্ত্যজ কৃষক, নমশূদ্র সম্প্রদায়, সব মিলিয়ে মতুয়া ধর্ম বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্য।ধর্মটির প্রবর্তক হরিচাঁদ ঠাকুর। বাংলাদেশের সাফলডাঙা গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। ভক্তদের বিশ্বাস, শ্রীচৈতন্যই পরজন্মে হরিচাঁদ। মতুয়াদের ধর্মগ্রন্থ ‘শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত’-র বয়ান, ‘নীচ হয়ে করিব যে নীচের উদ্ধার/ অতি নিম্নে না নামিলে কিসের অবতার?’ আর হরিচাঁদের পুত্র গুরুচাঁদ ছিলেন স্বয়ং শিব। পরিবারটি নমশূদ্র। মুখ্যত এই সম্প্রদায়ের মধ্যেই তাই মতুয়া ধর্মের বিস্তার। জমিদারের অত্যাচার, মিথ্যা মামলা দায়ের করার গল্প আছে হরিচাঁদের জীবনীতে। আবার আছে মরা মানুষ বাঁচিয়ে দেওয়া, অন্ধকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার অলৌকিক ঘটনাও। ঠাকুর হরিচাঁদের প্রবর্তিত এই মতুয়া ধর্মে বড় ভূমিকা আছে নামগানের। ‘হরি-ধ্যান হরি-জ্ঞান হরি-নাম সার/প্রেমেতে মাতোয়ারা মতুয়া নাম যার।
আর যশোরেশ^রী কালী মন্দির হিন্দুর ধর্মিয় ৫১ টি তীর্থের অন্যতম। ভগবান শিবের বদনাম সহ্য করতে না পেরে দেবী দূর্গা আগুণে আত্মাহুতি দেন। শিব দূর্গাকে ফিরে পাবার জন্য ঈশ^রের উপাসনায় প্রলয় নৃত্য আরম্ভ করেন। এতে সৃষ্টির নিয়মে সংকট তৈরী হয়। তখন আরেকজন দেবতা বিষ্ণু দূর্গার মৃতদেহ খন্ড করে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেন। এবং শিবকে প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিটা খন্ড যেখানে পড়বে সেখানে পূণ্যস্থান হবে। মানুষ সেসব স্থানে পুজো দিলে মানুষ মুক্তি পাবে। তিনি আরো বলেন, আগামী জন্মে শিব দূর্গাকে আবারো ফেরত পাবেন। যশোরেশ^রি কালী মন্দিরে দেবী হাতের তালু ও পায়ের পাতা পড়েছিল।